জুমবাংলা ডেস্ক : শিল্পকারখানা খোলার খবরে বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ঢল নেমেছে। কঠোর লকডাউনে যাত্রীবাহী বাস চলাচল না করায় মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহী যানবাহনে নানান কৌশলে যাত্রীরা ঢাকার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকে তো কোনো ধরনের যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই সামনের দিকে এগোচ্ছেন।
নৌপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় শনিবার সকাল থেকে লকডাউনে সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ভিড় বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস টার্মিনাল এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
তবে যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন না থাকায় রাজধানী পর্যন্ত এত দূরের পথ কীভাবে তারা পৌঁছাবেন, এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে চলাচালরত পণ্যবাহী ট্রাকের পথরোধও করেন তারা।
খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল স্বাভাবিক করে।
তারপরও যে যেভাবে পারছেন, ঢাকার উদ্দেশে এগোচ্ছেন। পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহী যানবাহনে চেপে তারা ঢাকার দিকে যাচ্ছেন।
পোশাক শ্রমিকরা জানান, কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ১ আগস্ট উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ কারণে খারাপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে তাদেরকে রাজধানীমুখী হতে হচ্ছে।
রবিউল নামের এক পোশাক শ্রমিক জানান, বাসসহ কোনো গণপরিবহণ না থাকায় দ্বিগুণ খরচে বাকেরগঞ্জ থেকে বরিশালে এসেছেন। এখন এখানে এসে কোনো যানবাহন না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি সুরাহা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
উল্লেখ্য, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার অসংখ্য শ্রমিক রাজধানীর বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঈদুল আজহার সময় আটদিন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায়, পোশাক শ্রমিকরা ওই সময়ে বাড়ি এসেছিলেন। সেই পোশাক শ্রমিকরাই পড়েছেন এখন বিপাকে।
এদিকে নথুল্লাবাদসহ নিজেদের আওতাধীন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপ্লব বড়ুয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।