যে ১০ সাবেক এমপির ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি কেনার আগ্রহ দেখায়নি কেউ

car

জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অনুষ্ঠিত একটি নিলামে সাবেক ২৪ এমপির বিলাসবহুল ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির মধ্যে ১৪টির জন্য দরপত্র জমা পড়েছে, তবে সাবেক ১০ এমপির গাড়ি কেউ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। সাবেক এমপিরা শুল্কমুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে এসব গাড়ি দেশে এনেছিলেন, কিন্তু সরকারের পরিবর্তনের পর চট্টগ্রাম কাস্টম কর্তৃপক্ষ এই গাড়িগুলোর শুল্ক আরোপ করে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা নির্ধারণ করে।

car

এই শুল্ক আরোপের পর থেকে গাড়িগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস নেওয়া হয়নি এবং অবশেষে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাবেক ১০ এমপির গাড়ি বিক্রির জন্য কেউ আগ্রহ দেখায়নি। তাদের মধ্যে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক এমপি আবদুল মোতালেব, সাবেক এমপি সানজিদা খানম, আবদুল ওয়াহেদ, এ এস কে একরামুজ্জামান, মো. আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মো. সাইফুল ইসলাম এবং রুনু রেজা অন্তর্ভুক্ত।

তবে বাকি ১৪টি গাড়ির জন্য ২৮ বিডার দরপত্র জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে সর্বোচ্চ দর উঠেছে নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি মো. সাদ্দাম হোসাইন পাভেল এবং খুলনা-৩ আসনের এস এম কামাল হোসাইনের গাড়ির জন্য। নির্ধারিত মূল্যের বিপরীতে তারা ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা দর হাঁকিয়েছেন। এ ছাড়া, সাবেক এমপি মজিবুর রহমান মজনুর গাড়ির জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

এছাড়া সাবেক তারকা এমপি তারানা হালিম ও নারী এমপি জান্নাত আরা হেনরির গাড়ির জন্য মাত্র ৫ লাখ টাকা দর উঠেছে, যা বেশ কিছুটা হতাশাজনক।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ নয়, নিশ্চিহ্ন করতে হবে: আসিফ মাহমুদ

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন (নিলাম কর্মকর্তা) জানিয়েছেন, প্রথম নিলামে ৬০ শতাংশ দর না ওঠায় সাবেক এমপি-মন্ত্রীর গাড়ি বিক্রি করার অনুমোদন পাওয়া যাবে না। আগামী সপ্তাহেই আরো ৭০ থেকে ৮০টি গাড়ি, যার মধ্যে সাবেক এমপিদের ৩০টি গাড়ি থাকবে, নিলামে তোলা হবে।