অনেকে বলেন বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা কমে আসে। যুক্তি দেবার সক্ষমতা কমে যায়। তবে আশার কথা হচ্ছে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। বিশেষ কৌশলের মাধ্যমে মস্তিষ্কের কর্মক্ষতা আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে।
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় ব্যায়াম করার মাধ্যমে। এর ফলে মস্তিষ্কে ভেতরে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ প্রবেশ করে। বাসার বাইরে ব্যায়াম করতে পারলে আরো ভালো। এতে আপনি ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারবেন।
হেঁটে হেঁটে মুখস্ত করার অভ্যাস বৈজ্ঞানিকভাবে বেশ প্রমাণিত। হাঁটার সময় যদি আপনি নতুন কিছু মনে করার চেষ্টা করেন তাহলে সেটি মুখস্ত হয়ে যায়। ভবিষ্যতে কোন প্রেজেন্টেশন দেওয়ার দরকার হলে হাঁটতে হাঁটতে সেটি পড়ে দেখা যেতে পারে।
আপনার দেহে গ্লুকোজের মাত্রা সঠিক না থাকলে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা কমে যেতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে এবং পেটের মধ্যে অনুজীবের ভারসাম্য রক্ষা করে। মস্তিষ্কের কোষ চর্বি দিয়ে গঠিত। তাই খাবারের তালিকা থেকে চর্বি বাদ দিয়ে দিবেন না।
বিভিন্ন খাবার থেকে পাওয়া ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের জন্য ভালো। মাঝেমধ্যে একটু স্ট্রেস নেওয়া খারাপ কিছু নয়। এতে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া জানার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটে। মস্তিষ্ককে এটি উজ্জীবিত করে এবং কোন বিষয়ে ফোকাস রাখতে সহায়তা করে।
আপনি নতুন ভাষা শিখতে পারেন। এটি আপনার মস্তিষ্কের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করবে। বন্ধুদের সাথে একটি অনলাইন গেম শুরু করতে পারেন। অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করলে আপনার সামাজিক নির্দেশ করে পারবে। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মস্তিষ্কের সক্ষমতা পড়ে।
গান স্মৃতিকে শক্তিশালী করে। এতে মস্তিষ্ক অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। কোন বিষয় মুখস্ত করার দরকার হলে ঘুমাবার আগে তো করুন। ওই বিষয়টি পড়ার পর ঘুমিয়ে গেলে তা স্মৃতির পরিণত হয় এবং তার সহজে মুখস্থ হয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।