১. সাপে দংশন/কামড়ালে। (আল মুগনি লি ইবনে কুদামাহ-৪র্থ খণ্ড/পৃষ্ঠা নম্বর: (নম্বর: ৩৬৮।)
২. রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকলে। (আল-মুগনি লি ইবনে কুদামাহ-৪র্থ খণ্ড/পৃষ্ঠা নম্বর: ৪০৩।)
৩. রোগ সারতে দেরি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে। (আল-মাজমুউল ফাতওয়া-৩য় খণ্ড/পৃষ্ঠা নম্বর: ২৬১।)
৪. বমি হলে, (তিরমিজি/হাদিস নম্বর: ৭২০।) তবে রোজা ভঙ্গ হবে-এই আশঙ্কায় বমি আটকে রাখা জায়েজ নেই। (আল মুগনি লি ইবনে কুদামাহ-৪র্থ খণ্ড/পৃষ্ঠা নম্বর: ৩৬৮)। ইবনে তাইমিয়া (রহ.) অনিচ্ছায় বমি হলে রোজা না ভাঙার পক্ষেই রায় প্রদান করেছেন (আল-ফাতাওয়া: খণ্ড-২৫, পৃ. ২৬৬)।
৫. অতিশয় বৃদ্ধ কেউ রোজা রেখে যদি এতই দুর্বল হয়ে যান যে, তিনি রীতিমতো প্রাণহানি বা যাওয়ার মতোই অবস্থা হলে। (তবে এটা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে)। (মাজালিসুস শারহি ফি রামাদান/পৃষ্ঠা নম্বর: ৭০)।
৬. রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লে; অর্থাৎ ডায়রিয়া, জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথাসহ অসহ্য সব ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়লে। (সুরা বাকারা/আয়াত নম্বর: ১৮৪, মাজালিসুস শারহি ফি রামাদান/পৃষ্ঠা নম্বর: ৭১)।
৭. হায়েজ-নেফাস শুরু হয়ে গেলে। (আহসানুল ফাতওয়া, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা নম্বর: ৪২০, বাহরুর রায়েক, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা নম্বর: ১৯৪, এমদাদুল আহকাম, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা নম্বর: ২/১৩৯, জওয়াহারুতুন নাইয়ারাহ-১/৩২)। তবে রোজাদার মহিলার যেদিন হায়েজ শুরু হবে, সেদিন রোজাদারের মতোই পানাহার থেকে বিরত থাকা রোজার সম্মানার্থে উত্তম মনে করে থাকেন অনেকেই।
ওপরে উল্লিখিত কারণে তাৎক্ষণিক আপনি রোজা ভেঙে ফেলতে পারবেন। কোনো অসুবিধে নেই। ভয় পাওয়ারও কারণ নেই। ‘মহান রব বান্দার জন্য সহজ করতে চান। কঠিন কিছু চান না এবং ধর্মে কঠোরতা দেননি (সুরা বাকারা/আয়াত নম্বর: ১৮৫, সুরা হাজ/আয়াত নম্বর: ৭৮)।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।