লাইফস্টাইল ডেস্ক: ত্বকের পরিচর্যায় অনেকেই একাধিক প্রসাধনী ব্যবহার করেন। কিন্তু ত্বক ভালো রাখতে প্রসাধনীর পাশাপাশি ডায়েটেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। যদি প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর খাবার খান তাহলে বিভিন্ন প্রসাধনী মাখলেও উপকার মিলবে না। ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেবেই।
খাদ্য যেমন শরীরের উপকার করে, তেমনি ক্ষতিও করতে পারে। এমন কয়েকটি খাবার আছে যা ত্বকের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এই সব খাবার বেশি খেলে ব্রণ, র্যাশ, বলিরেখা, দাগছোপ লেগেই থাকে। যেমন-
লবণ: অতিরিক্ত লবণ খেলে মুখে বিশেষ করে চোখের চারপাশে ফোলাভাব দেখা দেয়। চোখের চারপাশের ত্বক খুব সূক্ষ্ম এবং পাতলা। অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণে এই সব জায়গা ফুলে যেতে পারে। এমনকী অতিরিক্ত সোডিয়াম খাওয়ার ফলে চোখের তলায় কালিও পড়ে যায়। সবসময় মুখে ক্লান্তির ছাপ লেগে থাকে। তাই খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ না খাওয়াই ভালো।
দুগ্ধজাত খাদ্য: দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারের উপকারিতা অনেক। শরীর এবং ত্বকের জন্য খুবই ভালো দুগ্ধজাত খাদ্য। কিন্তু কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। এ কারণে এই জাতীয় খাবার খুব বেশি পরিমাণে খেলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। চোখের পাতা ফোলা, আই ব্যাগ, ব্ল্যাকহেডস, দাগছোপ, ব্রণ এবং বলিরেখার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিনি: অতিরিক্ত চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। চিনি শুধুমাত্র ক্যালরি বাড়ায় না, পাশাপাশি ত্বকেও খারাপ প্রভাব ফেলে। কপালে বলিরেখা, ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া, ব্রণ, দাগছোপ এবং ত্বকের রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া – এগুলি চিনি খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এ কারণে চিনিযুক্ত খাবার যত কম খাবেন, ততই ভালো।
অ্যালকোহল পান: বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল পানে শরীরের সঙ্গে ত্বকও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা মদ্যপানে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা আরও বাড়ে। এর ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।
গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাবার: গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাদ্য বেশি খেলে গালে ও কপালে ব্রণ, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। মুখ ফোলা, গালে লালচে ভাব হতে পারে। যাদের গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাবারে অ্যালার্জি আছে, তাদের মধ্যে এই সব সমস্যা বেশি দেখা যায়। গ্লুটেন অ্যালার্জির ফলে ত্বকে র্যাশও হতে পারে।
ভাজাভুজি: সন্ধ্যা হলেই অনেকে চপ, সিঙাড়া, পকোড়়া, ফ্রায়েড চিকেন খাওয়ার অভ্যাস আছে। এসব খাবার খেতে ভালো লাগলেও ত্বকের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। তেল চপচপে খাবার বা তেলেভাজা বেশি খেলে ব্রণ হয় স্বাভাবিকভাবেই। এ ছাড়াও ত্বকে আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়।
সোডা ও কোমল পানীয়: সোডা ও কোমল পানীয় খেতে ভালো লাগলেও ত্বকের জন্য মোটেও ভালো নয়। এই ধরনের পানীয়ে ক্যালরি ও চিনি উচ্চ মাত্রায় থাকে। বেশি খেলে ত্বকের অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।