লাইফস্টাইল ডেস্ক : কর্টিসল হলো অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একটি স্ট্রেস হরমোন। কর্টিসলের মাত্রা খুব বেশি থাকলে মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধি এবং কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার এবং মাছের তেলের মতো কিছু পরিপূরক কর্টিসলের মাত্রা কমাতে পারে। জেনে নিন বিস্তারিত।
১। পর্যাপ্ত ঘুম কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ঘুমের সমস্যা যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া, অনিদ্রা বা রাতের শিফটে কাজ করলে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। ঘুমানোর একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ রুটিন করুন। ঘুমানোর আগে গোসল করা, বইপড়ার মতো অভ্যাস মস্তিষ্ক এবং শরীরকে শান্ত রাখে। ঘুমের আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। একই সময়ে ঘুমাতে যান প্রতিদিন এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠুন।
২। নিয়মিত ব্যায়াম স্ট্রেসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিনিট ব্যায়াম কর্টিসলের মাত্রা কমাতে পারে।
৩। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যা মস্তিষ্ককে শিথিল করতে পারে এবং কর্টিসলের মাত্রা কমাতে পারে। ধ্যান, যোগব্যায়াম এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
৪। বেশ কিছু গবেষণা বলছে, পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটালে প্রাকৃতিকভাবে কমে চাপ ও কর্টিসলের মাত্রা কমায়।
৫। নিয়মিত উচ্চ মাত্রায় চিনি খাওয়ার ফলে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। চিনির পাশাপাশি পরিশোধিত শস্য এবং স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত ডায়েটও বাড়িয়ে দিতে পারে স্ট্রেস। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খান নিয়মিত।
৬। বন্ধু এবং পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখ্যন। যাদের ভালবাসেন তাদের সাথে সময় কাটান। অন্যকে ক্ষমা করতে শিখুন। কমবে মানসিক চাপ।
৭। প্রাণখুলে হাসুন। হাসলে কমে কর্টিসলের মাত্রা।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।