আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যৌতুকের জন্য নির্মম নির্যাতন সইতে করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক সংগীতশিল্পী আত্মহত্যা করেছেন।
আত্মঘাতী ওই শিল্পীর নাম সুস্মিতা এইচএস ওরফে সুস্মিতা রাজি (২৬)। তিনি ভারতের বেঙ্গালুরুর প্লেব্যাক শিল্পী ছিলেন।
সোমবার মা-বাবার বাড়িতেই ফ্যানে ওড়না ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই শিল্পী।
তাদের বাড়ি বেঙ্গালুরুর নগরভাবি এলাকার মালাগালা প্রধান সড়কে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন সংস্করণ এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রবিবার সুস্মিতা নগরভাবিতে অবস্থিত মায়ের বাড়িতে যান। মা মীনাক্ষি ও ভাই শচীনের সঙ্গে গল্পও করেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে একসঙ্গে রাতের খাবার খান।
রাত ১টার দিকে সুস্মিতা তার মা ও ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে এই বার্তা পাঠান যে, স্বামী শরৎ কুমার ও তার স্বজনরা তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে। সে সময় তার মায়ের মুঠোফোন বন্ধ ছিল।
আর ভাই শচীন সেই বার্তা দেখেন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে। সঙ্গে সঙ্গে শচীন তার কক্ষে ঢুকে দেখেন সুস্মিতা ফ্যানে ঝুলে আছেন। নিজের ওড়না দিয়েই ফ্যানে ঝোলেন সুস্মিতা।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ জুলাই শরৎকে বিয়ে করেন সুস্মিতা এবং তারা থাকতেন কে এস লেআউট আবাসিক এলাকায়।
পুলিশ জানায়, সুস্মিতা তার ভাই শচীনকে জানিয়েছিলেন যে, যৌতুকের জন্য শরৎ, গীতা ও বৈদেহী তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।