আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটিতে কাজ করার সময় মেক্সিকান এক মুসলিম নারী অর্থনীতিবিদ ও নৃবিজ্ঞানী যৌন নিপীড়নের শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন। এমন অভিযোগের পর কাতারের কর্তৃপক্ষ সেই নারীকেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের শাস্তিস্বরূপ ৭ বছর কারাবাস ও ১০০ বেত্রাঘাত মারার হুমকি দিয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর নাম পাওলা সেইতেকাত। খবর নিউজউইকের।
খবরে বলা হয়েছে, কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির সঙ্গে কাজ করার সময় দোহায় এক অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন সেইতেকাত। স্থানীয় লাতিন আমেরিকান জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিচিত এক ব্যক্তি সেইতেকাতের অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। সেইতেকাত নিজেই জানিয়েছেন এ ঘটনা।
গত বছরের ৬ জুন ঘটনাটি ঘটার পর মেক্সিকান সংবাদকর্মী হুলিও আস্তিল্লোরোকে সব খুলে বলেন পাওলা সেইতেকাত। নির্যাতনের ফলে বাঁ হাত, কাঁধ ও পিঠে আঘাত পান সেইতেকাত। এ ঘটনার মেডিকেল প্রমাণপত্র সংগ্রহ করে মেক্সিকান কনসালকে সঙ্গে নিয়ে কাতার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। ভাঙা ভাঙা আরবিতে পুলিশকে ঘটনাটা জানানোর পর জবানবন্দিতে সই করে চলে আসেন সেইতেকাত। রাত নয়টা নাগাদ তাকে ডেকে পাঠায় কাতার পুলিশ। সেইতেকাত সেখানে গিয়ে দেখেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এরপরই অন্যদিকে মোড় নেয় ঘটনা। সেইতেকাত বলেন, ‘আরবি ভাষায় প্রায় ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আমার কুমারীত্ব পরীক্ষা করতে চাপ দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে আমিই অভিযুক্ত হয়ে পড়ি।’
অপরদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশকে জানান, তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক। এরপর পুলিশ সেইতেকাতের কাছ থেকে তার ফোনটি নিতে চায়। তাপরই তিনি বুঝতে পারেন, পুলিশ ঘটনাটা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের দিকে গড়ানোর চেষ্টা করছে।
কাতারের আইন অনুযায়ী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের শাস্তি ৭ বছর কারাদণ্ড ও ১০০ চাবুক। এদিকে সেইতেকাতের আইনজীবী তার মক্কেলকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, অভিযোগ তুলে নিয়ে অভিযুক্তকে বিয়ে করতে। কিন্তু সেইতেকাত তা না করে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির সহায়তায় কাতার ছাড়তে সক্ষম হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।