জুমবাংলা ডেস্ক : যৌন সহিংসতার প্রতিবেদন প্রকাশে সংবাদ মাধ্যম যেন কঠোর মানদণ্ড এবং নির্দেশিকা বজায় রাখে সেই দাবি রেখেছে ‘প্রজন্মান্তরে নারীবাদী মৈত্রী’। সোমবার (১১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৫ সালে নারীর উপর সহিংসতা বিষয়ে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ২১ হাজার নারী ও মেয়েদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক একটি জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ নারী তাদের স্বামীর ঘরে যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন, ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে, রাস্তায় ১৮ দশমিক ৩শতাংশ, ১৩ শতাংশ ৯ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ বেশিরভাগই নিজের স্বামীর বাড়িতে যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা করেন। সবচেয়ে ভীত জায়গার এই তালিকায় পিতামাতার বাড়ি পঞ্চম স্থান। গবেষণাটি একটি প্রশ্নকে আবারও উত্থাপন করেছে, নারীরা তাহলে কোথায় নিরাপদ? তাহলে কি নিজের বাড়ীতেও নারীরা নিরাপদ না?
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি একটি ছেলে তার বন্ধুকে ধর্ষণ ও হত্যা করার ঘটনায় আমরা বিমূর্ত ও ক্ষুব্ধ। একজন কিশোরী সহিংসতাজনিত রক্তক্ষরণের ফলে মারা গেছে। এই ভয়াবহ ঘটনায় অনেকেই ভুক্তভোগীকে দায়ী করছে। এটি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য না। আমরা ভুক্তভোগীকে দোষারোপের এই চর্চার শেষ চাই।
সংগঠনটি আরও জানায়, আমরা আরও বিরক্ত প্রচারমাধ্যমের ওপর। ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ করার পাশাপাশি এমনভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে যা নারীদেরই সমালোচনার সম্মুখীন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।