রং ফর্সা করার জন্য অনেকেই রং ফর্সাকারী ক্রিম বা ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করেন। তবে আজেবাজে রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারের কারণে ত্বক সাময়িকভাবে ফর্সা হলেও উল্টো ত্বকের ক্ষতি হয়। আরটিভি
লোকাল গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এলজিএ) এই সতর্কবার্তায় বলা হচ্ছে, রং ফর্সাকারী ক্রিমে থাকা উপাদান ত্বকের উপরিভাগের একটি স্তরকে ধ্বংস করে দিতে পারে। যুক্তরাজ্যের রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতকর্তা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, যে কোনো মূল্যে এ ধরনের পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এই পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান হাইড্রোকুইনোন রয়েছে। এছাড়া অনেক ক্রিমে মার্কারি বা পারদ পাওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এই সতর্কবার্তায়। এলজিএ বলছে, কিছু খুচরা ব্যবসায়ী, অনলাইন, বাজারের কিছু দোকানীসহ এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা এ ধরনের পণ্য বিক্রি করছে। তারা সব সময় পণ্যের সঠিক মাত্রা উল্লেখ করে না, যার কারণে ভোক্তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন।
সকল রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়লেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান, আহত হয়েছে রাজপরিবার, জানালো বাকিংহাম প্যালেস ≣ মাদকের কারণে যে ব্যক্তির দাঁত পড়ে যায়, তার পক্ষে কাউকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ তো দূরে থাক, নিজেকে টেনে তোলার ক্ষমতাই থাকে না ≣ ডব্লিউএফপি’র মতে, বাংলাদেশের মানুষ অতিরিক্ত ভাত খায় বলে পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না
এলজিএ’র মতে হাইড্রোকুইনোন এমন এক রাসায়নিক যা জৈবিক রং পরিবর্তনের এক ধরনের উপাদান বা ‘পেইন্ট স্ট্রিপার’। এই রাসায়নিক মানুষের ত্বকের একটি স্তরকে অপসারণ করে দিতে পারে। এই পণ্য ব্যবহারের ফলে ত্বকের ক্যান্সার, যকৃত এবং কিডনির মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়। পারদ থেকে একই ধরনের প্রাণঘাতী স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। চিকিৎসকের অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাজ্যে হাইড্রোকুইনোন, স্টেরিয়ড বা পারদ রয়েছে এমন ক্রিম যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এলজিএ’র নিরাপদ ও শক্তিশালী কমিউনিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিমন ব্ল্যাকবার্ন বলেন, নিষিদ্ধ ত্বকের ক্রিম খুবই বিপজ্জনক এবং এগুলো স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এমনকি সারা জীবনের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। তাই এগুলোকে যে কোনো মূল্যে এড়িয়ে চলা উচিত।
তিনি আরো বলেন, ভোক্তাদের সব সময় তাদের ক্রিমে কি উপাদান রয়েছে তা খতিয়ে দেখা উচিত। খুব কম দাম হলে আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত। কারণ সেগুলো নকল এবং ক্ষতিকর হতে পারে। সেই সঙ্গে হাইড্রোকুইনোন রয়েছে এমন পণ্য একদম ব্যবহার করা উচিত নয়।
ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র লিসা বিকারস্টাফে বলেন, বছরের পর বছর ধরে অবৈধ রং ফর্সাকারী ক্রিমের ইস্যুটি চলেই আসছে। এসব কসমেটিকসের উপাদান মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে। তাই ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশনও এগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, নিজের ত্বকের রং নিয়ে কোন অভিযোগ কিংবা সমস্যা থাকলে ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তারাই আপনাকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।