জুমবাংলা ডেস্ক : মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মাধ্যমে এক চাকরিজীবীর বেতনের টাকা খোয়া যাওয়ার পর তা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৮টার দিকে টাকার প্রকৃত মালিক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় একটি ব্যাটারি কোম্পানির টেকনেশিয়ান নাজমুল হকের কাছে এ টাকা তুলে দেন নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি নাসির উদ্দিন, এএসআই কামালসহ পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, চাকরিজীবী নাজমুলের বেতনের টাকা তার কোম্পানি থেকে প্রতিমাসে রকেটের মাধ্যমে দেয়া হয়। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসের বেতনের ২২ হাজার টাকা কোম্পানি থেকে ছাড়া হলেও প্রতারকচক্র সেই টাকা অপকৌশলে তাদের রকেট অ্যাকাউন্টে হাতিয়ে নেয়। নাজমুল বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ পুলিশকে জানায়।
পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখতে পায় এই টাকা প্রথমে ময়মনসিংহে, পরবর্তীতে গাজীপুরে এবং প্রতারকচক্রের হাত ঘুরে সবশেষে নড়াইলের লোহাগড়ায় পাঠানো হয়েছে।
এরপর নড়াইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের নির্দেশে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ। মাত্র দুই ঘণ্টার অভিযানে বুধবার বিকালে নড়াইলের লোহাগড়া কলেজপাড়া এলাকা থেকে করিম খলিফা (২৫) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ এবং তার কাছ থেকে সেই ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। করিমের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায়। করিম পেশায় নির্মাণ শ্রমিক।
নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জানান, করিম সরাসরি প্রতারকচক্রের সঙ্গে জড়িত নয়। তার দুলাভাই প্রতারকচক্রের অন্যতম সদস্য। করিমের দুলাভাই অপকৌশলে তার (করিম) রকেট অ্যাকাউন্টে ২২ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। এই প্রতারকচক্রকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
টাকা পেয়ে নাজমুল হক বলেন, নড়াইলের পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় আমি খোয়া যাওয়া ২২ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি। কষ্টার্জিত এই টাকায় আমার সংসার চলে। টাকা ফেরত পেয়ে যেন ‘সোনার হরিণ’ হাতে পেয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।