স্বাস্থ্য ডেস্ক : একজন মানুষ আরেকজন থেকে আলাদা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিবিশেষে স্বাভাবিকভাবে একজন পুরুষের রক্তে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ ১৩ দশমিক আট থেকে ১৭ দশমিক দুই ডেসিলিটার। নারীর বেলায় তা ১২ দশমিক এক থেকে ১৫ দশমিক এক ডেসিলিটার। রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দেখা দেয়।
অ্যানিমিয়ার কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম রক্তক্ষয়, লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন কমে যাওয়া ও লোহিত রক্তকণিকা নষ্ট হয়ে যাওয়া। নারীরা গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতায় ভুগে থাকেন। পিরিয়ডের বেলায়ও এমনটি ঘটতে পারে। নারী-পুরুষ সবার বেলায় আলসার, মলদ্বারে পলিপ, বংশগত সমস্যা, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড কিংবা ভিটামিন ‘বি-১২’র ঘাটতি হলে।
উপসর্গ
অ্যানিমিয়ার কারণে দুর্বলতা, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাসহ মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এছাড়া শ্বাসপ্রশ্বাসের স্বল্পতা, মাথাঘোরা, মাথাব্যথা, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ফ্যাকাশে চামড়া, বুকে ব্যথা প্রভৃতি হতে পারে।
উল্লেখিত উপসর্গগুলোর বাইরেও প্রধান কয়েকটি কারণ রয়েছে।
প্রধান কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:
রক্তক্ষয়
রক্তক্ষয় স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। রক্তাল্পতার একটি সাধারণ কারণ এটি। মূলত পাচনতন্ত্র অথবা মূত্রনালিতে রক্তক্ষরণের ফলে রক্তক্ষয় ঘটে। সার্জারি, মানসিক আঘাত ও ক্যানসারের কারণেও রক্তক্ষয় হতে পারে।
স্বল্প পরিমাণে লোহিত রাক্তকণিকার উৎপাদন
বংশগত কারণে হতে পারে। এছাড়া অপুষ্টি, দীর্ঘস্থায়ী রোগ, হরমোনের অস্বাভাবিক স্তর প্রভৃতি রয়েছে। অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, অর্থাৎ মজ্জাজনিত রক্তাল্পতায় যথেষ্ট লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন হয় না।
বেশি সংখ্যায় লোহিত রক্তকণিকার ক্ষয়
যে বিষয়গুলো লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস করে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বিস্ফোরিত’ বা ‘অসুস্থ প্লীহা’। থ্যালাসেমিয়ার কারণে এটি হতে পারে। সংক্রমণ কিংবা নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত কিংবা রক্ত পরিবর্তনের কারণে এটি হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।