লাইফস্টাইল ডেস্ক: সুস্থ থাকতে আমাদের জন্য প্রথম শর্ত হলো শরীরের ভেতর কোলেস্টেরলকে বাসা বাঁধতে না দেওয়া। কোলেস্টেরল তিন প্রকার। ভালো কোলেস্টেরল, খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল।
শরীরকে অসুস্থ করতে সবচেয়ে বেশি দায়ী ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল। কোলেস্টেরল সরাসরি হার্টে আঘাত করে। হার্টের রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়। এ জন্য সুস্থ থাকতে হলে এখনই অবশ্যই কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করতে হবে।
গ্রিন টি:
গ্রিন টির উপকারিতার কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে তরলটি আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী তা হলো গ্রিন টি। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনোল। এই যৌগটি শরীরের নানা উপকারে লাগে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলগুলো কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যকর।
রসুন:
বাঙালি রান্নায় রসুনের ব্যবহার যথেষ্ট পরিমাণে হয়ে থাকে। রসুনে থাকে অ্যামিনো এসিড, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, এবং অর্গানোসালফার যৌগ। এগুলোর সংমিশ্রণ শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়। প্রতিদিন অর্ধেক বা একটি রসুন খেলে খারাপ কোলেস্টেরল ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
আমলকী:
আমলকীতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফেনোলিক যৌগ, খনিজ পদার্থ এবং অ্যামিনো এসিড থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলকীর ব্যবহার চলে আসছে। নিয়মিত আমলকী খেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করা যায়। দিনে একটি বা দুটি আমলকী খেলে রোগকে আপনার কাছ থেকে দূরে রাখবে।
ধনে:
ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে দূর করতে ধনেবীজেরও জুড়ি মেলা ভার। এতে আছে একাধিক ফলিক এসিড, ভিামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন।
মেথি:
ধনের মতোই উপকারী মসলা হলো মেথি। মেথিবীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ। মেথি শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে আর এর ফাইবার লিভারের সংশ্লেষণ কমায়। প্রতিদিন এক চামচ মেথি খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।