সম্প্রতি কারিনা কাপুর খান সহ অনেকেই এক ঘরোয়া আড্ডায় অংশ নেন। তারপর কারিনা করোনায় আক্রান্ত হন। সেখানে আলিয়া ভাটও ছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সেখানে উপস্থিত অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও আলিয়া কোয়ারেন্টাইনে না থেকে নিজের সিনেমার প্রচারে দিল্লি সফর করেন। এমনকি সেখানে তিনি স্বাস্থ্যবিধিও ভঙ্গ করেন। তার এহেন কর্মকাণ্ড ভালোভাবে নেননি অনেকেই। তারা আলিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তোলেন। তাদের দাবিকে আমলে নিয়ে মাঠে নামে সেখানকার মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের এক আধিকারিক।
তবে তদন্তের পর তিনি জানান, কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করেননি আলিয়া ভাট। বিএমসির সেই আধিকারিক বলেছেন, ‘আলিয়া ভাট নিভৃতবাসে ছিলেন না। তবে ওর আরটি-পিসিআর করানো হয়েছিল। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তাই তার বিরুদ্ধে আমরা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করব না।’
কিন্তু অনেকেই এমন বক্তব্যকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না। তারা বলছেন, তারকা হওয়ার কারণে তাকে ছাড়া দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আলিয়া বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। তাছাড়া আমি এমন কোনো অপরাধ করিনি যে আমাকে আইনি জালে ফাঁসানো হবে। প্রচারণায় যাওয়ার আগে করোনা টেস্ট করিয়েছিলাম।
সেখানে নেগেটিভ আসার পরই সফর করেছি এবং সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি। তারকা হওয়ার কারণে ছাড় পাইনি। বরং চেষ্টা করেছি সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সাবধানতার সঙ্গে কাজ করার। কারণ আমাদের অনেকেই ফলো করে, সেখানে আমি ভুল করলে তাদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। যা কখনোই আমার কাম্য নয়।’
উল্লেখ্য, নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে আলিয়া ‘গাঙ্গুবাই কটিয়াদি’ ও ‘আরআরআর’ সিনেমা দুটি। এছাড়া তার হতে বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।