জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে রঙিন মাছের রেণু পোনা উৎপাদন এবং বিপনন করে লাভবান হয়েছেন সাইদুর রহমান নামের এক মৎস্য হাচারী ব্যবসায়ী। অন্যান্য মাছের থেকে রঙিন মাছের পোনা উৎপাদন করে অধিক লাভবান হয়েছেন তিনি। লাভবান হওয়ার আশায় এখান থেকে পোনা নিয়ে নিজ-নিজ পুকুরে রঙিন মাছ চাষ করছেন অন্যান্য পুকুর মালিকরাও।
এই মাছ চাষ করে জিরো থেকে হয়েছেন হিরো সাইদুর। বর্তমানে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত মৎস্যচাষী। অর্জন করেছেন জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পুরস্কার।
সাইদুর রহমান রাণীনগর উপজেলার নলামারা খালের স্লুইসগেট এলাকায় ২০ বিঘা জলাবিশিষ্ট একটি পুকুরে প্রাকৃতিকভাবে রঙিন মাছের রেনু পোনা উৎপাদন শুরু করেছেন। পুকুরেই প্রাকৃতিকভাবে মা মাছ থেকে রঙিন মাছের রেণু পোন্ াউৎপাদন করছেন। বাণিজ্যিকভাবে সেসব পোনা অন্যান্য মৎস্যচাষীদেরকাছে বিক্রিও শুরু করেছেন। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে ওই জলাশয় থেকে নিট মুনাফা করেছেন প্রতিবছর ৫ লাখ টাকা।
রঙিন মাছের পোনা উৎপাদনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য মাছ চাষিদের মধ্যে ব্যপক সাড়া পড়ে। তারা এখান থেকে রঙিন মাছের পোনা সংগ্রহ করে নিজেদের পুকুরে রঙিন মাছ শুরু করেছেন। অন্য মাছের থেকে এই মাছ চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
স্বাভাবিক অন্য মাছের চেয়ে রঙিন মাছের চাহিদা বেশী বলে এসব মৎস্যচাষিরা ইতিমধ্যেই অনুভব করেছেন এবং সেই অনুভব থেকেই তাদের পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে রঙিন মাছের চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
মাছের পরিচর্যা করতে কর্মসংস্থান হয়েছে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের। তারা এখানে শ্রম দিয়ে প্রাপ্ত মজুরী দিয়ে তাদের সংসারের প্রাত্যহিক ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. এমামুল এহসান জানিয়েছেন, সাইদুর রহমানের রঙিন মাছের রেনু পোনা উৎপাদনে সাফল্যের বিষয়টি মৎস্য বিভাগ অবহিত রয়েছে। বর্তমানে বাজারে রঙিন মাছ খাওয়াসহ এ্যাকুইরিয়ামে প্রদর্শনের জন্য বিশেষ চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই মৎস্য বিভাগ এ ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করছে।
সাইদুর রহমানসহ অন্য যারা এই মাছ চাষে আগ্রহী তাদের সব রকমের সহযোগিতা দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
নওগাঁ জেলা এমনিতেই মৎস্য চাষে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত। গতানুগতিক মাছ চাষের পাশাপাশি রঙিন মাছ চাষিদের আগ্রহ জেলাকে এক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।