চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস ৪৩ ধরনের পণ্য ও খাতে রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। রপ্তানিকারকরা ০.৩ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা পাবেন। গতবারও একই হারে এই ৪৩টি পণ্য সহায়তা পেয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্তের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৪৩টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা।
নগদ সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাবরের মতো চলতি অর্থবছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে নগদ সহায়তা পরিশোধ বিষয়ে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে। রপ্তানিতে নগদ সহায়তার হার কমানোর পর গত বছরে সর্বশেষ যে হারে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল সেই হার এবারও বহাল রাখা হয়েছে।
রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা ছাড়ের আগে বহির্নিরীক্ষক বা অডিট ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করাতে হয়। ব্যাংকে নিয়োজিত বহির্নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ নিরীক্ষা করানো যাবে।
নতুন অর্থবছর ২০২৫-২৬-এর প্রথম ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৪৩টি খাতে রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তা (রপ্তানি প্রণোদনা) ঘোষণা করেছে। এই প্রণোদনার হার, পণ্যের ধরন ও রপ্তানির গন্তব্যভেদে ০.৩০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের জন্য সাধারণত ১.৫০ শতাংশ প্রণোদনা থাকলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে রপ্তানির জন্য তা ০.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিট, ওভেন ও সোয়েটারজাত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৩ শতাংশ এবং নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে রপ্তানিতে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।