সয়াবিন তেল নিয়ে পুনরায় কৃত্রিম সংকট তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। এজন্য আমাদের ঢাকার বিভিন্ন বাজারে সয়াবিন তেল এর সরবরাহে অনেক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এজন্য ক্রেতারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সয়াবিন তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিভিন্ন দোকান ঘুরেও তারা দরকার অনুযায়ী তেল কিনতে পারছে না। তবে সরিষার তেল এর কোন ঘাটতি বাজারে নেই। পাশাপাশি আপনি যদি রাইস ব্র্যান অয়েল কিনতে চান সেখানে সরবরাহের কোন সমস্যা নেই।
এ দুটি তেলের দাম আগের মতই রয়েছে। কৃত্রিম সংকট তৈরী বা দাম বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হয়নি। বিভিন্ন দোকানদার তেলের সাথে অন্ন পণ্য কেনার জন্য শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন। এতে জনগণ আরো বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র জনগণ।
কেননা এর আগের দাম ৮ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। যদি আবারও তা করা হয় তাহলে তাদের জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। দোকানদারের নানা শর্ত মেনে ক্রেতাদের সোয়াবিন তেল কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ভোজ্য তেলের দাম এর আগে লিটারে ৮ টাকা বৃদ্ধি করা হলেও উৎপাদকরা সন্তুষ্ট নয়। ব্যবসায়ীরা তেলের দাম পুনরায় বৃদ্ধি করতে চান। তেলের দাম যেন বাড়ানো হয় সে উদ্দেশ্য সামনে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরীর চেষ্টা করা হচ্ছে। সামনে রমজান মাস আসছে।
আমাদের দেশের সাধারণত রমজান মাসে তেলের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। এজন্য কুচক্রী সিন্ডিকেট মহল সুযোগ নেবার চেষ্টা করছে। তাই সরকারকে বিপদে ফেলে আরো এক দফার দাম বাড়িয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে তারা।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে অলরেডি অফিসিয়ালি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সরবরাহের যেন কোন ঘাটতি না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করা যাচ্ছে তারা। পাশাপাশি আর কোন দাম বৃদ্ধি করার ইচ্ছা তাদের নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।