জুমবাংলা ডেস্ক: রোজার আগেই প্যাকেটজাত চিনির দাম প্রতি কেজি ১২০ টাকা নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর ফলে প্যাকেট চিনির দাম একলাফে কেজিতে বাড়বে ১২ টাকা। পাশাপাশি খোলা চিনির দামও কেজিতে আট টাকা বাড়িয়ে ১১০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এখন মিল মালিকদের পাঠানো এ প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদক রুকনুজ্জামান অঞ্জন-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
আন্তর্জাতিক বাজারে র-সুগারের দাম, গ্যাসের দাম এবং স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় বাড়ার কারণেই চিনির দাম রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, চিনির মূল্য কত হতে পারে তা পর্যালোচনা করে দেখছে ট্যারিফ কমিশন। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নতুন মূল্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, গত ২২ জানুয়ারি চিনির মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে একটি সভা হয়। তবে ওই সভায় কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। গত ২৪ জানুয়ারি পুনরায় সভার পর এখন অভিন্ন মূল্য পদ্ধতিতে চিনির বাজারদর চূড়ান্তকরণের সুপারিশ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে কমিশন।
এর আগে গত নভেম্বরে একদফা বাড়ানো হয়েছিল চিনির দাম। গত ১৭ নভেম্বর প্যাকেটজাত চিনি ১৩ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজির দাম ১০৮ টাকা এবং খোলা চিনির দাম ১০২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারও আগে ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশি প্যাকেটজাত এক কেজি চিনির দাম ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল। তবে নির্ধারিত দামে কোথাও চিনি পাওয়া যায়নি। গত মাসেও প্রতি কেজি চিনির মূল্য ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি (বর্তমানে প্যাকেট চিনির কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা)। সে সময় নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেউ বেশি দামে চিনি বিক্রি করলে প্রয়োজনে জেলে পাঠানো হবে।
গত ৪ জানুয়ারি দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী চিনি পরিশোধনকারী মিল মালিকদের কাছে জানতে চান, কেন নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি মিলছে না। জবাবে ব্যবসায়ীরা জানান, ডলারের উচ্চমূল্যের পাশাপাশি আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে চিনির দাম কমছে না। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এক কেজি চিনিতে ৩২ টাকা আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। ওই সভার পর চিনির শুল্ক কমাতে এনবিআর-এ চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে শুল্ক কমানোর ঘোষণা এখনো আসেনি।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.