রমজান মাস শুরু হতে না হতেই বাজারে তরল দুধের সংকট দেখা দিয়েছে। তরল দুধের প্যাকেট বাজারে পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভোক্তারা অভিযোগ করছেন যে, অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার জন্য কৃত্রিম সংকটের চেষ্টা করছে। মিল্কভিটার চেয়ারম্যান মনে করে যে, এ সংকট সাময়িক সময়ের জন্য। কিছুদিন পরেই আবার তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
সাধারণত আমাদের দেশে রোজার সময় বিভিন্ন পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়। কৃত্রিম সংকট মোকাবেলা করার জন্য কোন পদক্ষেপ কাজ আসেনি। আমাদের দেশে হাতেমাত্র অল্প কয়েকটি কোম্পানি বাজারে তরল দুধ সরবরাহ করে। অনেক সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ দুধ কিনতে না পেরে হতাশায় বাড়িতে ফিরে আসছে।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘তারা আমাদেরকে ডিসকাউন্ড দেওয়ার দরকার নেই। স্বাভাবিক মাসে যেভাবে বিক্রি করেছে, সেভাবেই যদি বিক্রি করে তাহলেও এ দেশের মানুষ শান্তিতে ইফতার করতে পারবে।’
একজন বিক্রেতা বলেন, ‘দুধের কোম্পানি ৪–৫টা আছে। একজনও যদি কিছু করার চিন্তা করে সকলে মিলে আগে এটা নিয়ে ডিল করে। তখন তাদের যদি মনে হয় এটা করা দরকার তাহলে ওরা সিন্ডিকেট করে এটার দাম বাড়ায় দেয়। নাহলে একদম বন্ধ করে দেয়।’
দুধের সংকটের কথা স্বীকার করছে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা। চেয়ারম্যানের দাবি, রোজার মাসে বাড়তি সরবরাহের প্রস্তুতির জন্যই সরবরাহ কমানো হয়েছিল কয়েকদিন। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দাম বাড়বে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
মিল্কভিটা চেয়ারম্যান কমান্ডার জহিরুল আলিম বলেন, ‘অন্যান্য সব কোম্পানির চেয়ে আমাদের দাম এখনও কম আছে। ১০ টাকা করে কম আছে। এটা আমরা বাড়াব না। রমজানের ১ সপ্তাহ আগে সরবরাহ একটু কম ছিল বাজারে, জাস্ট টু প্রিপেয়ার আমাদের মার্কেটিং টিম। তারা যাতে পর্যাপ্ত সরবরাহ করতে পারে। এখন ইনশাল্লাহ বেড়ে যাবে।’ ভোক্তা স্বার্থে অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি তরল দুধের বাজারেও তদারকির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।