বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনস্পতি ম্যানুফাকচার এসোসিয়েশন জানিয়েছে যে, রমজান মাসে ভোজ্যতেল নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। দাম যেন বৃদ্ধি না পায় এবং বাজারে যেন পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকে সে বিষয়ে মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।
আজ তাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এ বিবৃতি অনুযায়ী রমজান মাসে বাজারে কোন সংকট হবে না। বিবৃতির মধ্যে স্বাক্ষর করেন নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। তারা বিবৃতিতে আরো স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, বর্তমানে বাজারে তেলের সংকটের কারণে সাধারণ জনগণ কষ্ট পাচ্ছে।
মিডিয়াতে এভাবে সংবাদ পাবলিশ করা হয়েছে। তবে রমজান মাসে কোন সংকট হবে না। যা দরকার তার থেকে বেশি বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে যে সংকট রয়েছে তা দ্রুত কেটে যাবে। তাছাড়া মূল্য বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। কেননা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি।
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘এছাড়া দেশের শীর্ষ স্থানীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি ভোজ্যতেল আমদানি করেছে যা আগামী ৭-১০ দিনের ভিতরে বাজারে প্রবেশ করবে।’
এসোসিয়েশনের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ভোজ্যতেলের সরবরাহে ঘাটতির সংবাদে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাই ভোক্তা ও ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আমরা অনুরোধ করছি যে, তারা যেন আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণে ভোজ্যতেল ক্রয় না করেন। সমিতি এ সংকট মোকাবিলায় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর সমূহের সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে, যাতে এই সংকট দ্রুত নিরসন করা যায়।’
আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন থেকে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের আশ্বস্ত করতে চায় যে, আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া, এই সংকটে যেন ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও মূল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেজন্যে সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং বৃদ্ধি করা, ভোক্তাদের সহযোগিতা ও ধৈর্য একান্ত কাম্য যা আমাদের এই প্রচেষ্টা কে সফল করতে আরো বেশী বেগবান করবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।