শুরু হলো পবিত্র রমজান মাস। সাধারণত আমাদের দেশের রমজান মাস শুরু হলে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়ে যায়। এতে করে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা পাওয়ার জন্য কমা আয়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হন। রমজান মাস শুরু হতে না হতেই বিভিন্ন কাঁচাবাজারে পণ্যের বাড়তি দাম লক্ষ্য করা যায়।
রমজান মাসে বেগুন, শসা, এবং লেবুর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এসব পণ্যের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া মাংসের দাম বাড়তি অবস্থায় রয়েছে। গুড়, মুড়ি, চিড়া, ছোলা এবং খেজুরের দাম আগের মতই স্থিতিশীল রয়েছে। সয়াবিন তেল মজুদ করে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা এখনো বন্ধ হয়নি। ঢাকার বাজারে চিত্র অনেকটা এরকমই।
রাজধানীর মহাখালী বাজারে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। কয়েক দিন আগেও যে লেবুর হালি ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, এখন সে লেবুর একটির দামই ২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে শসার দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে এখনও স্থিতিশীল রয়েছে শীতকালীন সবজির বাজার। ফুলকপি, গাজর, টমাটো, সিম মিলছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে।
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। ভোক্তাদের এখনও ঘুরতে হচ্ছে দোকানে দোকানে। পাওয়া গেলেও, মিলছে না গায়ে লেখা দরে। আটা, ময়দা, পোলাওয়ের চাল না কিনলে, সয়াবিন তেলের সরবরাহ করছে না ডিলাররা। এমন অভিযোগ করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
আগের চড়া দরেই স্থিতিশীল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে আমদানির প্রভাব পড়েনি বাজারে। কেননা যৌক্তিক দামে একই মানের চাল আনা যায়নি।
মাংসের দামও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বুধবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ১৮০-২০০ টাকা ছিল। একইভাবে সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ২৮০-৩১০ টাকা হয়েছে।
মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বুধবার ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দাম সপ্তাহখানেক আগে কিছুটা কম ছিল। আর কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। গতকাল এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হয়েছে ১০৫০-১১০০ টাকায়।
মাছের বাজারেও একই অবস্থা। চাষের চিংড়ি, কই, শিং, তেলাপিয়া, রুই ও পাঙাশ মাছের দাম কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। নদীর মাছের দাম বেড়েছে আরও বেশি। মাঝারি আকারের আইড়, বোয়ালের জন্য পকেট থেকে বেরিয়ে যাবে ২ হাজার টাকারও বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।