রমজান ও গ্রীষ্মের সময় লোডশেডিং নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। গরমের সময় শহর এবং গ্রামে লোডশেডিং এর মাত্রা যেন সমান হয় সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকবে বাংলাদেশ সরকার। রাজধানীতে জেলা প্রশাসকদের নিয়ে যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সেখানে কথা বলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন যে, লোডশেডিং হলেও গরমের সময় হাসপাতালে যেন কোন সমস্যা না হয় সে বিষয়ে তারা সজাগ থাকবে। হাসপাতালে কোন লোডশেডিং দেওয়ার পরিকল্পনা নেই মন্ত্রণালয়ের। লোডশেডিং দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাম এবং শহরের মধ্যে যেন পার্থক্য করা না হয় তা বলে দেওয়া হয়েছে।
রমজান মাসে দেশের জনগণ যেন নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পায় সে বিষয়ে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। তবে চিন্তার বিষয় হচ্ছে বর্তমানে এসির লোড ৬০০০ পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হবে। নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে ২০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। নামাজের সময় এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ধর্ম উপদেষ্টাকে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভা শেষে জ্বালানি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রমজানে যান্ত্রিক ত্রুটির বাইরে কোনো লোডশেডিং হবে না। তবে গ্রীষ্মে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।
রমজান মাস শুরু হতে বাকি আছে এক মাসের কম সময়। এসময়, সেচ মৌসুমের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। জ্বালানি আমদানির অনিশ্চয়তা ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্মকালে সারা দেশে ব্যাপক লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত দুই বছর ধরে তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকদের পাওনা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২০২২ সাল থেকে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন শুরু হওয়ায় এ সংকট দেখা দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।