স্পোর্টস ডেস্ক : নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটার রস টেলর দিনকয়েক আগে নিজের আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি ক্রিকেট ময়দানে বর্ণবৈষম্যের উল্লেখ করেছেন। সেই ঘটনাগুলো ইতিমধ্যেই ক্রিকেট বিশ্বকে জোর ধাক্কা দিয়েছে। পাশাপাশি এই বইতে তিনি IPL টুর্নামেন্ট সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অজানা তথ্য তিনি শেয়ার করেছেন। টেলর লিখেছেন, যখন তাঁরা ১৯৫ রান তাড়া করতে নেমেছিলেন সেইসময় তিনি রানের খাতা খুলতে না পেরেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন। সেইসময় রাজস্থান রয়্যালস দলের এক মালিক নাকি তাঁকে কষিয়ে থাপ্পড় মেরেছিলেন। এরপর থেকেই গুঞ্জন উঠতে শুরু করে যে ওই মালিক কে ছিলেন? কেই বা মেরেছিলেন থাপ্পড়। তবে নেট নাগরিকদের একাংশ দাবি করেছেন যে এই ঘটনার পিছনে শিল্পা শেঠির হাত রয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন রস টেলর।
এই ক্রিকেটার নিজের আত্মজীবনী ‘রস টেলর: ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’ বইয়ে এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন। ‘স্টাফ ডট সিও ডট এনজেড’-য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, “আমরা ১৯৫ রান তাড়া করতে মাঠে নেমেছিলাম। এই টার্গেটটা অবশ্যই অনেক বড় ছিল। কিন্তু আমি এই ম্যাচে কোনও রান না করেই প্যাভিলিয়েনে ফিরে গিয়েছিলাম। ম্যাচের শেষে টিম হোটেলের একেবারে উপরের কামরায় দলের কয়েকজন ক্রিকেটার এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকেরা মদ্যপান করছিলেন। ওয়ার্নিও (শেন ওয়ার্ন) ওঁর গার্লফ্রেন্ড লিজ হার্লের সঙ্গে ছিলেন।”
এই ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন রস। তিনি লিখেছেন, “ওই সময় রাজস্থান রয়্যালস দলের একজন মালিক আমাকে প্রায় ৩-৪টে চড় মেরেছিল। সেইসঙ্গে এটাও বলেছিল যে শূন্য রান করার জন্য আমাকে এক মিলিয়ন টাকা দিয়ে কেনা হয়নি।” যদিও রস এই ব্যাপারটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে গোটা ব্যাপারটাই একেবারে মজার ছলে হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে ওই মালিক আসলে কে ছিলেন? নেট নাগরিকদের একাংশের দাবি, ওই মালিক আর কেউ নন বরং শিল্পা শেঠি নিজেই ছিলেন। ইনসাইড স্পোর্টসে প্রকাশিত একটি খবর অনুসারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক IPL টুর্নামেন্টের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই টুর্নামেন্টের একেবারের ঊষালগ্নে দলের সঙ্গে শিল্পা শেঠি এবং রাজ কুন্দ্রা ছাড়া মালিকপক্ষের আর কেউ ট্রাভেল করতেন না। মাঝেমধ্যে আসতেন মনোজ বাদালে। ফলে শিল্পা কিংবা রাজের মধ্যে কেউ একজন রস টেলরকে চড় মেরেছিলেন বলেই আমার মনে হচ্ছে।”
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই দলের সিংহভাগ শেয়ার ট্রেসকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের হাতেই ছিল। ট্রেসকোর মালিকানা সুরেশ চেলারাম এবং তাঁর পরিবারের হাতেই ছিল। তাঁদের হাতে ছিল এই দলের ৪৫ শতাংশ শেয়ার। এরপর একে একে লালচাঁদ মারদোচের কাছে ছিল ১১.৭ শতাংশ, এমার্জিং মিডিয়ার হাতে ৩২.৪ শতাংশ এবং রাজ কুন্দ্রার হাতে ছিল ১১.৭ শতাংশ শেয়ার।
পাশাপাশি রাজ কুন্দ্রা ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাজস্থান রয়্যালস দলের সঙ্গে ছিলেন। আর রস টেলর যে ঘটনার উল্লেখ করেছেন সেটা টুর্নামেন্টের চতুর্থ মরশুমের। সেইসময় রাজস্থান রয়্যালস দলে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ ছিলেন রাজ কুন্দ্রা এবং শিল্পা শেঠি। ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত আরএম লোধা কমিটি রাজ কুন্দ্রাকে যাবতীয় ক্রিকেটীয় কার্যকলাপের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পাশাপাশি রাজস্থান রয়্যালসকেও ২ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল এই লোধা কমিটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।