বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলা হয় শুক্রগ্রহকে। সেখানে কি ঘটছে সেদিকে নজর রাখেন বিজ্ঞানীরা। তবে শুক্র নিয়ে তাঁদের অত মাথাব্যথাও নেই, যতটা মঙ্গল নিয়ে রয়েছে। যদিও টেলিস্কোপের সাহায্যে নজরদারি চলে শুক্রের ওপর।
তারপরেও শুক্রের অনেক তথ্য এখনও অজানা বিজ্ঞানীদের কাছে। আবার এমনও তথ্য রয়েছে যা সম্বন্ধে ধারনা থাকলেও তার অকাট্য প্রমাণ হাতে নেই।
এমনই একটি প্রমাণ এবার হাতে পেলেন বিজ্ঞানীরা। তবে সে তথ্য তাঁদের হাতে এল কিছুটা নাটকীয়ভাবে। কারণ যে ২টি ছবি থেকে তাঁরা তা জানতে পারলেন তা তোলা হয়েছিল ৩০ বছর আগে।
১৯৯১ সালে নাসার ম্যাগেলান মিশন শুক্রগ্রহের একটি রাডার ইমেজ তুলেছিল। সেটায় লুকিয়ে থাকা তথ্য এতদিনে বিজ্ঞানীদের চোখে পড়ল। সেখানে ফেব্রুয়ারি ও অক্টোবরের ২টি ছবি কাজে লাগল।
ছবি ২টি একই জায়গার তোলা হয়েছিল। শুক্রগ্রহের বিষুবরেখার ওপর অ্যাটলা রেজিও নামে একটি মালভূমি অঞ্চল রয়েছে। সেখানেই রয়েছে শুক্রগ্রহের ২টি সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি ওজা মোনস এবং মাট মোনস।
এই মাট মোনসের জ্বালামুখের যে ছবি ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সালে নেওয়া হয়েছিল তাতে সেই মুখটি ছিল ২.২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এর ঠিক ৮ মাস পর যখন অক্টোবরে সেই ছবিই নেওয়া হয় তখন দেখা যায় সেই জ্বালামুখ দ্বিগুণ বড় হয়ে গেছে।
আর সেই জ্বালামুখটি জুড়ে লাভার হ্রদ তৈরি হয়েছে। আশপাশে লাভা গড়িয়ে পড়ার চিহ্নও পাওয়া যায়। যা এই প্রথম শুক্রগ্রহে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ বিজ্ঞানীদের দিল।
এর আগে শুক্রগ্রহে আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তার কথা বিজ্ঞানীরা খাতায় কলমে জানলেও তার কোনও ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ তাঁদের হাতে ছিলনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।