রাইড শেয়ারিং সেবার ভবিষ্যৎ: নিরাপত্তা ও নীতিমালার চ্যালেঞ্জ

রাইড শেয়ারিং কোম্পানি

রাইড শেয়ারিং কোম্পানি নিয়ে গঠন হচ্ছে বিয়ারটিএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন। তিনি জানিয়েছেন যে, তাদের জন্য যেসব নিয়ম কানুন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে তা মেনে চলতে হবে। তা না হলে এসব কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া হবে। রাইড শেয়ারিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠান উবারের এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মোহাম্মদ ইয়াসিন।

রাইড শেয়ারিং কোম্পানি

তাদের যেসব ড্রাইভার রয়েছে সবাইকে নজরদারিতে রাখা হবে। এ সময় দেশের অর্থনীতিতে উবারের অবদানকে স্মরণ করেন তিনি। রাইড শেয়ারিং কোম্পানি হিসেবে পাঠাও দেশে যাত্রা করে 2016 সালে। সব মিলিয়ে ১৫টি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান কার্যকর রয়েছে দেশে। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান লোকসানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাবলিক ফার্স্ট এর তথ্য বলছে, উবার চালকরা তাদের অন্যান্য বিকল্প কর্মসংস্থানের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি আয় করছেন। তবে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি এবং চালক উভয়ে যাত্রী সেবায় নিয়ম না মেনে কাজ করছেন, অভিযোগ খোদ বিআরটিএ চেয়ারম্যানের। মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং চালানোর জন্য সে হয়ত অ্যাপস নিয়েছে, অনুমতি নিয়েছে কিন্তু সে আর চালায়নি। আমরা তাদেরকে বন্ধ করে দিয়েছি। ফিজিক্যালি অফিস বন্ধ করে দিয়েছি এমন ঘটনাও আছে। যারা নিয়ম মানবে না আমরা তাদের বন্ধ করে দেবো।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব না দিলে আস্থা হারাবে রাইড শেয়ারিং এর উদ্যোগ। মানুষের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় একে আরো সহজলভ্য করার তাগিদ তাদের। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘নারী ড্রাইভার এবং যাত্রী উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে শুধু উবার নয় অন্যান্য রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকলের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।

উবারের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদোস কামাল বলেন, ‘রেভিনিউ আয় করলাম সেটার কনটেক্সে, না। আরও বড় ভাবে দেখতে হবে। এটা কিভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে সেটাও দেখতে হবে।’ কমিশন বেশি নেওয়া, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগে বর্তমানে চালকরা অ্যাপে না গিয়ে গন্তব্যে যেতে চুক্তি ভিত্তিতে আগ্রহী বেশি।