বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: শুরু থেকেই মোবাইল ফোনের দুনিয়ায় আইফোন নিয়ে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের একচেটিয়া রাজত্ব। একের পর এক আইফোন নিয়ে হাজির হচ্ছে নির্মাতা সংস্থাটি। স্মার্টফোনের দুনিয়ায় আইফোন একটি বড় স্থান দখল করে আছে। আইফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কম নয়। সারাবিশ্বে রয়েছে এর ব্যবহারকারী।
আর প্রযুক্তি যতই এগিয়ে যাচ্ছে তাল মিলিয়ে বাড়ছে হ্যাকারদের তৎপরতা। নানাভাবে গ্রাহকদের তথ্য হ্যাক করছে তারা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো তো বটেই স্মার্টফোন, কম্পিউটার কিছুই রক্ষা পায় না এদের হাত থেকে।
তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের তুলনায় আইফোনের সিকিউরিটি ফিচার অনেকাংশে উন্নত ও অভেদ্য। কারণ হ্যাকারদের হাত থেকে ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষিত রাখতে আইফোনে একাধিক সিকিউরিটি ফিচার দেওয়া হয়। অনেক সময় এতেও রক্ষা পান না অনেক ব্যবহারকারী।
হ্যাকাররা যেভাবে নিত্যনতুন পদ্ধতি ও কৌশল আবিষ্কার করছে, তাতে আইফোন হ্যাক করা আর কঠিন বিষয় নয়। হ্যাকিং থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে হ্যাকারদের থেকে আইফোন সুরক্ষিত রাখবেন-
আইফোন রিবুট করুন: লক-স্ক্রিন বা পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের কবল থেকে আপনার আইফোনে থাকা ডেটাকে সুরক্ষিত রাখে। তবে কেউ যদি আপনার সুরক্ষা-মন্ত্রটি জেনে ফেলে, তবে ফোনে থাকা যাবতীয় ডেটার অ্যাক্সেস চলে যাবে সেই ব্যক্তির হাতে। এক্ষেত্রে আইফোনটি রিবুট করুন। এতে আপনার আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট হবে। সঙ্গে ডিভাইসটি আরও দ্রুত কাজ করবে।
কিছুদিন পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন: অ্যান্ড্রয়েড হোক আর আইফোন সুরক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। ফোনের স্ক্রিন লক ও অ্যাপগুলোতে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এটি আপনার আইফোনে থাকা ডেটার সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি হ্যাকারদের প্রতিরোধও করে। তাই অন্তত এক মাস অন্তর ফোনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত।
আবার ফোনে যদি কোনো সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে পরে তাহলে দ্রুত পাসওয়ার্ড বদলে দিন। তবে আপনাকে এটা খেয়ালে রাখতে হবে যে, আপনার নির্বাচিত পাসওয়ার্ডটি যেন শক্তিশালী হয়।
ফেস আইডি সেটিংস চেক করুন: জানেন কি? আইফোনের ক্যামেরাও গুপ্তচরের কাজ করতে পারে? হ্যাকাররা আপনার আইফোনের নিরাপত্তা-জাল ভেদ করতে পারলে, ডিভাইসে থাকা ফেস আইডি ফিচারের অ্যাক্সেস সহজেই পেয়ে যাবে। এরপর সেই হ্যাকার নিজের ফেস আইডি আপনার ফোনে যুক্ত করতে পারবে ও আপনার প্রতিটি কাজে নজরদারি রাখতে পারবে। তাই ফেস আইডি সেটিংস চেক করা জরুরি।
তাই কিছুদিন অন্তর আইফোনে থাকা সব ফেস আইডি ডেটা রিসেট করুন। সেই সঙ্গে নিজের জন্য একটি নতুন ফেস আইডি সেটআপ করুন। যদি আপনার আইফোনে টাচ আইডি ফিচার থাকে তবে সেটিকেও রিসেট করুন।
অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল করুন: আইফোনে অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যান্টি-স্পাইওয়্যার সফটওয়্যার থাকা খুবই জরুরি। এই সফটওয়্যার আপনার আইফোনে কোনো বিপজ্জনক ভাইরাস আছে কি না বা ডিভাইসের অন্দরে কোনো প্রকারের সন্দেহজনক কার্যকলাপ চলছে কি না তা পরীক্ষা করতে সক্ষম। ফলে আইফোনে অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল থাকলে, হ্যাকিংয়ের ভয় অনেকটাই কমে যাবে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।