Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home রাগী মানুষকে শান্ত করতে এ কোন নিয়ম?
অন্যরকম খবর

রাগী মানুষকে শান্ত করতে এ কোন নিয়ম?

rskaligonjnewsFebruary 15, 20234 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক:  আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৌলতে মস্তিষ্কের জটিল থেকে জটিলতর রোগও সারিয়ে তোলেন চিকিৎসকেরা। কখনো ওষুধেই হয় কাজ হাসিল, কখনো রোগ সারাতে মস্তিষ্কে কাটাছেঁড়া করতে হয়।

রাগী

কিন্তু মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের একটি চিকিৎসা পদ্ধতি কয়েক দশক আগে উঠে এসেছিল বিতর্কের কেন্দ্রে। মস্তিষ্কের অন্যতম বিতর্কিত এই অস্ত্রোপচার পদ্ধতির নাম লোবোটমি সার্জারি। ১৯৩০-এর দশকে আমেরিকায় জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল লোবোটমি সার্জারি। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের জটিল রোগের চিকিৎসা করা হত। চিকিৎসা পদ্ধতিও ছিল অত্যন্ত জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ।

লোবোটমির আর এক নাম লিউকোটমি। এটি এক প্রকারের সাইকোসার্জারি। স্কিৎজোফ্রেনিয়া-সহ নানাবিধ মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসায় এক সময় এই সার্জারির একচেটিয়া প্রয়োগ করা হত। আমেরিকা জুড়ে বহু মানুষ এই চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। লোবোটমি প্রয়োগ করা হয়েছিল হাজার হাজার রোগীর উপর। কেউ সুস্থ হয়েছিলেন। কিছু ক্ষেত্রে মিলেছিল কাঙ্ক্ষিত ফল। তবে অনেক ক্ষেত্রেই হিতে বিপরীত হয়ে গিয়েছিল।

লোবোটমির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনেকেই আরো জটিল মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতেন। মৃত্যুও হত বহু মানুষের। সেই কারণেই এই শল্যচিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে এত বিতর্ক। ষাটের দশকে আমেরিকায় লোবোটমি নিষিদ্ধ হয়ে যায়। কীভাবে অস্ত্রোপচার করা হয় লোবোটমিতে? এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীর মাথার খুলি ফাটিয়ে ঘিলুর নির্দিষ্ট অংশ বার করে আনা হয়। কখনো কখনো হয় ঘিলুর অদলবদলও।

মূলত দুইটি প্রক্রিয়ায় লোবোটমি প্রয়োগ করা হত। প্রথম প্রক্রিয়া অনুযায়ী, শল্যবিদ রোগীর খুলির দুইদিকে দুইটি ছিদ্র করতেন। তারপর লিউকোটোম নামের একটি যন্ত্রের মাধ্যমে মস্তিষ্কের টিস্যু কেটে ফেলতেন। দ্বিতীয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী, রোগীর চোখের কোটরে যন্ত্র প্রয়োগ করতেন চিকিৎসক। তারপর হাড়ের পাতলা আস্তরণের মধ্যে দিয়ে যন্ত্রটিকে ঘিলু পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হত। একই পদ্ধতিতে কেটে ফেলা হত মস্তিষ্কের টিস্যু।

দাবি, এই চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর মনের ভাব বদল করা যায়। মানসিক ভারসাম্যহীন যে রোগী কখনো হাসেন, কখনো কেঁদে ফেলেন, কখনো আবার তীব্র আক্রোশে ফুঁসতে থাকেন, সেই রোগীকে নিমেষে শান্ত করে দেয় লোবোটমি। চরিত্রগত ভাবে যিনি রাগী, লোবোটমির মাধ্যমে তাকে শান্তশিষ্ট, ক্রোধহীন করে তোলা যায়, দাবি লোবোটমি প্রয়োগ করা চিকিৎসকদের। তবে বিরুদ্ধ মতো বলে, লোবোটমি আসলে রোগীর অনুভূতি শক্তিকে নষ্ট করে। রোগী জড়তায় আক্রান্ত হন। প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।

লোবোটমির আবিষ্কর্তা পর্তুগিজ স্নায়ুবিশারদ অ্যান্টোনিয়ো এগাস মনিজ। ১৯৪৯ সালে লোবোটমি সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। কিন্তু তার এই পুরস্কার নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। প্রথম থেকেই একদল চিকিৎসক এবং স্নায়ু বিশেষজ্ঞ লোবোটমির বিরোধিতা করে এসেছেন। তা সত্ত্বেও আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া-সহ একাধিক দেশে ধীরে ধীরে এই চিকিৎসা পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের চেয়ে নারী রোগীদের উপর বেশি প্রয়োগ করা হত লোবোটমি। ১৯৫১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আমেরিকার লোবোটমি প্রযুক্ত রোগীর ৬০ শতাংশই নারী। যে বছর লোবোটমির আবিষ্কর্তা নোবেল পান, তার ঠিক পরের বছরই এই চিকিৎসা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় সোভিয়েত রাশিয়ায়। এর পর একে একে ইউরোপের অন্যান্য দেশও রাশিয়ার পথে হাঁটে। ১৯৬৭ সালে আমেরিকায় শেষ বার লোবোটমি প্রয়োগ করা হয়েছিল। চিকিৎসক ওয়ালটার ফ্রিম্যানের সেই অস্ত্রোপচারে মৃত্যু হয়েছিল রোগীর। তারপর থেকে আমেরিকায় আর এই অস্ত্রোপচার করা হয়নি।

লোবোটমির পর রোগীদের তাৎক্ষণিক এবং প্রায় আবশ্যিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল খিঁচুনি। এছাড়া, অস্ত্রোপচারের পর রোগী সারাক্ষণই যেন বিভ্রান্ত হয়ে থাকতেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হারাতেন আত্মসংযমও। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর অস্বাভাবিক হারে মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যেত লোবোটমির পর। পরবর্তী কালে লোবোটমি নিয়ে খুঁটিনাটি গবেষণা, পর্যবেক্ষণ করেন বিশেষজ্ঞেরা। তাদের দাবি, এই অস্ত্রোপচার মানুষের ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধির বিনিময়ে মানসিক রোগের চিকিৎসা করে। অস্ত্রোপচারের পর রোগী কার্যত অনুভূতিশক্তিহীন হয়ে পড়েন।

বলা হয়, লোবোটমি চলাকালীনই মৃত্যু হয়েছে অনেক রোগীর। কেউ কেউ আবার পরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। অনেক রোগীর মস্তিষ্ক স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে লোবোটমির সাফল্য যে একেবারেই ছিল না, তা নয়। এই অস্ত্রোপচারের পর মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের কেউ কেউ হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে পেরেছেন। কেউ কেউ হাসপাতালে থাকলেও হয়ে উঠেছেন নিয়ন্ত্রণযোগ্য। আবার কোনো কোনো রোগী লোবোটমির পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছেন। ১৯৪০ সালে লোবোটমিতে মৃত্যুর হার ছিল ৫ শতাংশ।

লোবোটমিতে পারদর্শী চিকিৎসক ফ্রিম্যান তার এক রোগীর বর্ণনা করে জানান, অস্ত্রোপচারের পর ২৯ বছর বয়সি নারী ঝিনুকের মতো হয়ে গিয়েছিলেন। জড়তা যেন গ্রাস করেছিল তাকে। তিনি হাসতেন, অলসভাবে বসে থাকতেন, খালি পাত্র থেকে অবিরাম কাপে চা ঢালতেন। লোবোটমি নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধের উপরেই ভরসা রাখা হয়েছে। ওষুধ দিয়ে রোগ সারানোর চেষ্টা করা হয়। ওষুধ ব্যর্থ হলে শেষ অস্ত্র হিসাবে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন কেউ কেউ। তবে লোবোটমির প্রয়োগ হয় না আর।

বিশ শতকেই বিপুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল লোবোটমি। স্নায়ুচিকিৎসার একটি জার্নালে লোবোটমি সম্পর্কে লেখা হয়েছিল, ‘লোবোটমির ইতিহাস সংক্ষিপ্ত হলেও ধ্বংসাত্মক। এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। হিংসাত্মক এই অস্ত্রোপচারে দাসত্বের কালিমা লেগে রয়েছে।’

সূত্র: আনন্দবাজার

৩৫ হাজার টন বরফে করা হয়েছে হোটেলের নকশা

 

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অন্যরকম এ করতে কোন খবর নিয়ম, মানুষকে রাগী শান্ত
Related Posts
অপটিক্যাল ইল্যুশনের ছবি

আপনি কতটা বুদ্ধিমান বলে দেবে এই ছবিটি

December 13, 2025
বাজপাখি

ছবিটি জুম করে লুকিয়ে থাকা বাজপাখি খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিন

December 11, 2025
অপটিক্যাল ইলিউশন

ছবিটি জুম করে সাইকেলের টায়ার আছে নাকি নেই খুঁজুন

December 8, 2025
Latest News
অপটিক্যাল ইল্যুশনের ছবি

আপনি কতটা বুদ্ধিমান বলে দেবে এই ছবিটি

বাজপাখি

ছবিটি জুম করে লুকিয়ে থাকা বাজপাখি খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিন

অপটিক্যাল ইলিউশন

ছবিটি জুম করে সাইকেলের টায়ার আছে নাকি নেই খুঁজুন

ছবিটি

ছবিটিতে প্রথমে কী দেখলেন তা বলে দিবে অতীত ও বর্তমান

কুকুর

জুম করে ছবিতে লুকানো কুকুরটি খুঁজুন, ৯৯% মানুষ ব্যর্থ হন

অপটিক্যাল ইলুউশন

ছবিটি জুম করে দেখে বলুন লুকিয়ে কে ঘরের বাহিরে গিয়েছিল

Bird

ছবিটি জুম করে লুকিয়ে থাকা বাজপাখি খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ! আপনি পারবেন?

ভূল

বলুন তো এই ছবিতে কোথায় ভূলটি রয়েছে? ৯৯% মানুষ ভুল উত্তর দেন

অপটিক্যাল ইলিউশন

ছবিটি জুম করে পাথরের ভিড়ে লুকিয়ে থাকা পাখিটি খুঁজে বের করুন

অপটিক্যাল ইলিউশন

ছবিটি জুম করলে বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.