লাইফস্টাইল ডেস্ক : যাঁরা বলেন, রাগলে আমার খেয়াল থাকে না, তাঁদের জন্য বলি, সময় থাকতে সাবধান। এই রাগ কিন্তু আপনার পারিবারিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে কেরিয়ার, সব একদম স্পয়েল করে ছেড়ে দিতে পারে। তাই নিজের রাগকে সামলান. মনে রাখতে পারেন, রাগ হতেই পারে, তবে তার বহিঃপ্রকাশও যেন আপনার রুচি আর সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায়।
মনোবিদরা বলেন, রাগ হল আমাদের একটি নেতিবাচক আবেগ বা নেগেটিভ ইমোশন। বলাই বাহুল্য, যা নেতিবাচক, তাকে প্রত্যাহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু কেউ প্রশ্নই করতেই পারেন, সবই বুঝতে পারি, কিন্তু কী করব, রাগ হলে নিজেকে আর সামলাতে পারি না।
যাকে বলে চণ্ডালের রাগ, সেই রাগ যদি আপনার শরীরে থাকে, তাহলে প্রথমেই আপনাকে সতর্ক হতে হবে। হতে পারে, স্ট্রেস বা আন্ডারলাইন ডিপ্রেশন থেকে আপনার এই রাগ হচ্ছে। তাহলে সেক্ষেত্রে কোনও রাখঢাক না-করে একজন পেশাদার মনোবিদের পরামর্শ নিতে হতে পারে আপনাকে।
আর যদি দেখা যায়, ছোটবেলা থেকেই আপনার মেজাজ, পরিবার-পরিজনদের কাছে প্রশ্রয় পেয়ে-পেয়ে এই জায়গায় পৌঁছেছে, তাহলে বুঝবেন সমস্যা আরও গভীরে। মনে রাখবেন, সবাই আপনার মা-বাবা নন। আপনার অফিস কলিগ তো বটেই, এমনকি আপনার বেটার-হাফও আপনার মেজাজ সহ্য করতে না-ই পারেন. সেক্ষেত্রে কিন্তু ঘরে-বাইরে সমস্যায় পড়তে হবে আপনাকে। দক্ষ একজন মনোবিদ কিন্তু অ্যাংগার ম্যানেজমেন্টের পথ দেখিয়ে দিতে পারেন আপনাকে। যে কারণেই রাগ হোক না কেন, মনে রাখবেন, আপনি চাইলেই তার বহিঃপ্রকাশকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। বর্ডার লাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারেও কিন্তু দেখা যায় অত্যধিক রাগ। সেক্ষেত্রেও আপনাকে মনোবিদ, এমনকি, প্রয়োজনে মনোচিকিততসকের সঙ্গে কনসাল্ট করতে হবে।
রাগ পুষে রাখা মানে আপনারই ক্ষতি। শারীরিক, মানসিক এবং অবশ্যই সামজিকভাবে আপনিই বিপন্ন বা বিপদগ্রস্ত হতে পারেন এই অত্যধিক রাগ থেকে। আর হ্যাঁ, দিনে নিয়ম করে মেডিটেশনে বসুন। রাগ কমাতে মনের স্থিরতা খুব কাজে দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।