নিজস্ব প্রতিবেদক: শোকাবহ অগাস্ট মাস উপলক্ষে দেশের এক কোটি এক লাখ নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে টিসিবির ডিলারের দোকান থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
১ আগস্ট সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে এ পণ্য বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু অধিকাংশ জেলায় ওইদিন শুরু করতে পারেনি টিসিবি।
একজন কার্ডধারী ৫৫ টাকা দরে এক কেজি চিনি, ৬৫ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ২০ টাকা দরে ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
উদ্বোধনের পর বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এক কোটি পরিবারকে দিচ্ছি। বিভিন্ন ইউনিয়নে দিচ্ছি। তিন হাজার ডিলার আছে। এক কোটি জনকে দিচ্ছি মানে এক কোটি পরিবার।
টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের জন্য অনেকে টাকা নিচ্ছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে সে রকম কোনো খবর নেই। টাকা-পয়সা নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। এ রকম যদি দেয়, তাহলে আমরা দেখব।
‘আমরা চাই ফেয়ার অবস্থা থাকুক। যদি কোনো অনিয়ম থাকে, উদ্যোগের অভাব থাকে, কোনো কারণে যদি পিছিয়ে থাকে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত মার্চ মাসে প্রথম দফায় ৬২ জেলায় এসব পণ্য দেওয়া হয়। ঢাকা ও বরিশালে দেওয়া হয় জুনে। সোমবার থেকে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে একযোগে ডিলারদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল টিসিবি।
ঘোষণা থাকায় সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে টিসিবির ডিলারদের দোকানে ভিড় করেন ফ্যামিলি কার্ড পাওয়া অনেকে। কিন্তু পণ্য না পেয়ে খালি হাতেই ফিরতে হয় তাদের। ঢাকা উত্তর সিটির ২৪নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম নামে একজন ক্রেতা সমকালকে বলেন, পণ্য কিনতে গিয়ে পাইনি। ডিলার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে বিক্রি করবেন।
গত রোববার টিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ আগস্ট থেকে তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ এক কেজি চিনি ও দুই কেজি করে তেল, মসুর ডাল এবং পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, তেল ১১০ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা ও পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি হবে।
এর আগে গত মে মাসেও বিক্রির ঘোষণা দিয়ে শেষ পর্যন্ত তা স্থগিত করে টিসিবি। ১১ মে দেওয়া ঘোষণা অনুসারে, ১৬ মে বিক্রি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিক্রি শুরুর ঠিক আগের রাতে হঠাৎ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে টিসিবি।
জানা গেছে, রাজধানীতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়ার কাজ এখনও শেষ হয়নি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ কার্ড বিতরণ করার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে প্রায় আট লাখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির চেয়ারম্যান বলেন, কিছু জটিলতার কারণে সব সুবিধাভোগীর কাছে কার্ড পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে কাজ চলছে। শিগগিরই বাকি কার্ডগুলো বিতরণ করা হবে। চলতি মাসে কার্ডধারী সবার কাছে একবার পণ্য বিক্রি করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।