এক ফোঁটা রক্ত বাঁচাতে পারে জীবন, কিন্তু যদি সেই রক্তে স্যালাইন মেশানো হয়, তা হতে পারে প্রাণঘাতী। রাজধানীর কিছু বেসরকারি ব্লাড ব্যাংকে এমন মানহীন রক্তের ব্যবসা চলছে, যা রোগীদের জন্য বড় হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকার বেশিরভাগ হাসপাতালেই রোগীর জীবনের আশ্রয় রক্ত। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেসব রক্তের ব্যাগে রক্তের চেয়ে বেশি স্যালাইন রয়েছে। গ্রীন রোডের নিরাপদ ব্লাড ব্যাংক থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় কেনা একটি ‘ও নেগেটিভ’ রক্ত পরীক্ষা করে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দেখা যায়, এটি রোগীর শরীরে দেওয়ার উপযোগী নয়।
এনআইসিআরএইচ-এর সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ফারহানা ইসলাম বলেন, “এটাতো স্যালাইন মেশানো। এক ব্যাগকে অন্তত দুই ব্যাগে পরিণত করা হয়েছে।”
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আগুনে পোড়া রোগীর জন্যও মানহীন রক্ত কেনা হয়েছিল। রক্তদাতা এবং রোগীর স্বজনরা বলেন, “আমরা রক্ত দিই মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য, বিক্রির জন্য নয়।”
মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনার সময়ও অভিযোগ উঠেছে, রিদম ব্লাড ব্যাংক রক্ত সংগ্রহ করে তা রোগীদের না দিয়ে বিক্রি করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ বিভাগের পরিচালক আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান জানান, প্রমাণ থাকলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীতে প্রায় শতাধিক বেসরকারি ব্লাড ব্যাংক রয়েছে, কিন্তু অধিকাংশই ২০০৮ সালের নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন মানছে না। এই অব্যবস্থার কারণে রোগীর জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে এবং স্বাস্থ্যসেবায় ভয়াবহ সংকট তৈরি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।