জুমবাংলা ডেস্ক : ধানমন্ডিতে পর্বতারোহী শায়লা বিথীর ওপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। ওই সময় তিনি ফুটওভারব্রিজ পার হচ্ছিলেন।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুলের সামনের ফুটওভারব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর বিথী মোহাম্মদপুর থানায় যান। তবে ঘটনাস্থল শেরেবাংলা নগর থানার আওতায় পড়ায় তাকে সেখানে পাঠানো হয়। অভিযোগ শুনে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছেন।
বিথীর সঙ্গে থানায় যাওয়া শান্ত শান বলেন, ‘আমরা পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে দেখতে পুলিশ আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন।’ তিনি জানান, মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শান্ত বলেন, ওভারব্রজি থেকে নামার সময় আচমকা বিথীর চুলির মুঠি টেনে ধরে। হামলাকারীরা তাকে টেনে উপরের দিকে তুলতে চেয়েছিল, কিন্তু বিথী বসে পড়েন। জোর-জবরদস্তির একপর্যায়ে বিথী চিৎকার করতে থাকে। ফুটওভারব্রিজের নিচেই কয়েকজন রাস্তায় কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে হামলাকারীরা বিথীকে ছেড়ে দিয়ে উপরের দিকে উঠে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বিথী উঠে দাঁড়িয়ে পেছনে তাকিয়ে কাউকে দেখেননি।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, ফুটওভার ব্রিজ থেকে নামার সময় কে বা কারা তার চুলের মুঠি টেনে ধরেছে। তবে তিনি হামলাকারীদের দেখেননি। তিনি সিঁড়িতে পরে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আমরা এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে একটা টিম পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে যথাযথ আইননুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেইসবুক পোস্টে বিথীর স্বামী তৈমুর ফারুক তুষার বলেন, পর্বতারোহী শায়লা বিথী ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের ওভারব্রিজ পার হচ্ছিল। পেছন থেকে হামলাকারীরা এসে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক পেটানো শুরু করে। হামলায় তার ঠোঁট ফেটে গেছে। সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। কারা কী উদ্দেশ্যে এ হামলা করেছে তা পুলিশকে বের করতে হবে। দুপুর ২টার পরে দিনের আলোতে এ হামলার দৃশ্য নিশ্চয়ই সিসিটিভিতে রেকর্ড আছে। ফলে অপরাধীদের শনাক্ত করা কঠিন হওয়ার কথা না। শায়লা বিথী অভিযোগ জানাতে মোহাম্মদপুর থানায় গেছে।
হামলার এ ঘটনায় নারী অধিকারকর্মী খুশি কবীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘যারা দায়িত্ব নিয়েছে, এক মাস হয়ে গেছে। এখনও যদি ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলে নেওয়া না যায়, সেটা শঙ্কার। এভাবে তো চলতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিতে একদিনও সময় দেওয়া যায় না। কারণ এটা মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
শায়লা বিথী সর্বশেষ ২০২১ সালের অক্টোবরে হিমালয়ের আইল্যান্ড পর্বতচূড়া জয় করেন। তিনি ২০১৬ সালে ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টিনিয়ারিং থেকে পর্বতারোহণের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১৮ সালের মে মাসে তিব্বতের লাকপারি (৭ হাজার ৪৫ মিটার) পর্বতচূড়া জয় করেন। ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে হিমালয়ের দুর্গশ তাশি লাপচা (৫ হাজার ৭৫৫ মিটার) গিরিপথ পার হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।