জুমবাংলা ডেস্ক: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে চলতি বছরের ১৯ জুলাই থেকে দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং ব্যবস্থা চালু করা হয়। প্রতিদিনই রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লোডশেডিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে কোনো এলাকায় কখন লোডশেডিং, তার সময়সূচি আগেই জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
এই নির্দেশ মোতাবেক রবিবার (১৬ অক্টোবর) লোডশেডিংয়ের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এবং ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউসন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)।
তবে রবিবার রাজধানীর কোথাও কোথাও এক থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এক বিশ্লেষণে, রাজধানীতে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বরত ডিপিডিসি ও ডেসকোর দেওয়া লোডশেডিং সূচিতে এমনটাই লক্ষ্য করা গেছে।
জানা গেছে, মৌসুমি হাওয়া পরিবর্তনে গরম বেড়েছে। পাশাপাশি লোডশেডিংও বেড়েছে। যার প্রভাব সারা দেশজুড়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসের তুলনায় বর্তমানে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়ে দুই হাজার ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হলেও বর্তমানে তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে। যে ঘাটতি গত তিন মাসে ছিল না। এ কারণে রাজধানীর কোথাও কোথাও একইদিনে প্রায় পাঁচবার পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।
ডেসকোর এমডি আমির কাউসার আলী জানিয়েছেন, কোথাও কোথাও এখন দিনে পাঁচবার লোডশেডিং করতে হচ্ছে। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি খুব খারাপ যাচ্ছে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান গত সোমবার বলেন, প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে।
এদিকে ডেসকোতেও কোনো কোনো নির্দিষ্ট গ্রাহক এলাকায় চারবার পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।
ডিপিডিসির লোডশেডিং সূচিতে দেখা গেছে, রোববার ডিপিডিসির আওতাধীন অধিকাংশ এলাকায় তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর শ্যামপুরের কয়েকটি জায়গায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
তালিকা দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।