আবু সুফিয়ান: রান্না মানেই শুধু খুদা নিবারণের পণ্য নয় এখন তা পরিণত হয়েছে শিল্প হিসেবে। রন্ধন শিল্পীদের মর্যাদা দিতে প্রায় চার দশক ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সেই প্রচেষ্ঠার অংশ হিসেবে নতুন উদ্যোগতাদের নিয়ে সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী রান্নার সেরা ১০০ রেসিপির রন্ধন শিল্পীদের নিয়ে এক মিলন মেলা।
দেশের বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী রান্নার সেরা রেসিপি নিয়ে বই প্রকাশ করছেন হাসিনা আনছার। ইতোমধ্যে তিনটি বই প্রকাশ করেছেন যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নতুন উদ্যোক্তারা ৩০০টি রান্নার পসরা সাজিয়েছেন। শেষ চতুর্থ খন্ডের বইটিতে ১০০ জন উদ্যোগতার রান্নার রেসিপি প্রকাশের জন্য চুড়ান্ত করা হয়েছে।
সেই নতুন উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই মিলন মেলার আয়োজন করেছিলেন বইটির সম্পাদক হাসিনা আনছার। উদ্যোক্তাদের নিজস্ব তৈরি করা বিভিন্ন ধরণের মজাদার খবার নিয়ে মিলন মেলায় কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংবাদিক আবু সুফিয়ান, রাকিবুল হাসান ও ব্যবসায়ী মুবারক হোসেন মন্টু।
মিলন মেলার অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন হাসিনা আনছার। তিনি বলেন ‘রন্ধন শিল্পের মর্যাদা দিতে অনেক আগে থেকে দেশে আমাদের অগ্রজ আপারা কাজ শুরু করেছেন। আজকে যারা ঐতিহ্যবাহী রান্নার চতুর্থ খন্ডে ১০০ টি রেসিপির উদ্যোক্তা তারাই ভবিষ্যতে এই রান্না শিল্পকে আরও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করবে এবং এর মাধ্যমে নিজেরা স্বাবলম্বী হবেন এবং অন্যদের পথ দেখাবেন। আমি সবার মঙ্গল কামানা করি।’
অনুষ্ঠানে আগত নতুন উদ্যোক্তরা মিলন মেলার আয়োজনের মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করার জন্য হাসিনা আনছারকে ধন্যাবাদ জানান।
উদ্বোধনের পর মিলন মেলায় নতুন উদ্যোক্তারা যারা নিজেদের তৈরি করা খাবার নিয়ে এসেছিলেন তাদের মধ্যে কানিজ ফারজানা নিয়ে এসেছিলেন লেমন ফ্লেভারের কেক, পারফেক্ট মিষ্টি তৈরি করে নিয়ে এসেছিলেন শর্মীলা জেসমিন তুলি, মাজাদার তালের পিঠা তৈরি করে নিয়ে এসেছিলেন নাসরীন নওরোজ শম্পা। তাছাড়া আরও অন্যান্য উদ্যোক্তরা এনেছিলেন চার ধরণের কেক, পুড়িং, ভ্যাজিটেল রোল সব প্রায় ৩০ টির মতো মজাদার খাবার।
মজাদার খাবার তৈরি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহ করে থাকেন উড়ান ফাউন্ডেশন। উক্ত ফাউন্ডেশনের সদস্য সোনিয়া সিমরান ও নামিরা খান মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন এবং অতিথিদের আপ্যায়নের দায়িত্ব পালন করেন।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেহানা ইয়াসমিন, কানিজ ফাতেমা রুমা, জিনিয়া ইসলামসহ অনান্যরা।
আনুষ্ঠান শেষে হাসিনা আনছার আগত সাংবাদিক ও অতিথিদের হাতে ‘ঐতিহ্যবাহী রান্না –সেরা ১০০ রেসিপ ‘ বইটি তুলে দেন। এই বইটি প্রকাশ করতে গিয়ে দেশের আনাচে কানাচে অনেক গুন রন্ধন শিল্পীকে তুলে ধরতে পেছেন তিনি। আশা করা যাচ্ছে চতুর্থ বই খুব দ্রুতই প্রকাশ হবে।
হাসিনা আনছার চান আরও ছড়টি বই প্রকাশের মাধ্যমে দেশের মোট এক হাজার নতুন উদ্যোক্তাকে তুলে ধরবেন। তিনি তা পারবেন বলে মিলনমেলায় উপস্থিত সকলের প্রত্যাশা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।