জুমবাংলা ডেস্ক: ভারত-শাসিত কাশ্মীরে গত প্রায় তিন মাস ধরে চলছে চরম অস্থিরতা – ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় জনতার সংঘর্ষে প্রায় একশোর কাছাকাছি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ছররা বন্দুকের গুলিতে চিরতরে দৃষ্টিহীন হয়ে গেছেন বহু মানুষ। পাশাপাশি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে একের পর এক সেনা ছাউনিতে জঙ্গীরা হামলা চালাচ্ছে – আর কাশ্মীরকে ঘিরে এই চরম সংঘাত দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানকে আরও একবার যুদ্ধের দোরগোড়ায় নিয়ে আসছে বলে পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন। আজ কাশ্মীরের ইতিহাস নিয়ে আলোচনার সাপেক্ষে জুমবাংলার পাঠকদের জন্য রয়েছে পর্ব ২।
ভারতের সংবিধানে কাশ্মীরকে যে বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত এলাকার মর্যাদা দিয়েছিল ৩৭০ ধারা – তা বাতিল করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এই ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ যোগ হয়েছিল ভারত ও কাশ্মীরের নেতাদের দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে। বিধানটিতে জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়া হয়, তা ছাড়া পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে কাশ্মীরের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা হয়।
কিন্তু ভারতে বর্তমানে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির নির্বাচনী ওয়াদা ছিল এটা বাতিল করা। কীভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়েছিল এই ৩৭০ ধারা এবং কীভাবে তা বাতিল হলো – তা এক নজরে দেখে নিন নিচের এই ঘটনাক্রমে।
কাশ্মীর সংকট নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে পরবর্তী কিস্তি আগামীকাল প্রকাশিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।