জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর যখন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সংস্কারের বিষয়টি জোরেসোরে পুরো দেশজুড়ে আলোচনা হয়। কিভাবে সংস্কার করা হলে ভবিষ্যতে দেশ অস্থিরতায় ঢুকবে না তা নিয়ে অনেক মতামত দেওয়া হচ্ছে।
তবে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসে ডায়লগ মনে করে যে, রাজনৈতিক সংস্কার ভালোভাবে করা না হলে অর্থনৈতিক সংস্কার কাজ করবে না। তারা আরো বলে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলেও অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো নয়।
বর্তমানে রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ৩.৭ শতাংশ যা পূর্বের সরকারের সময় থেকে অনেক অনেক কম। তাদের কথা অনুযায়ী রিজার্ভের অবস্থা তেমন সন্তোষজনক নয় এবং বিদেশী বিনিয়োগের প্রকল্প বাস্তবায়ন যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৪-২৫: সংকটময় সময়ে প্রত্যাশা’ পূরণের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব কথা তুলে ধরেন।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিপিডি বলছে, বিদেশি ঋণের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অভ্যন্তরীণ উৎসে নির্ভরতা বাড়ছে, যা আগামীতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এক্ষেত্রে বেশ কিছু আইন সংস্কারের দরকার রয়েছে বলে মনে করে সিপিডি। তারা আরো বলছে যে, ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে ইতিবাচক গতি রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে আমাদের পোষাক রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে বলে অর্থনীতি একেবারে ডুবে যায়নি। শেষ কয়েক বছরে প্রায় 40 লাখ শ্রমজীবী মানুষ বিদেশ গিয়েছে কাজের সন্ধানে। এই 40 লাখ শ্রমজীবী মানুষের একটা বড় অংশ থাকে মধ্যপ্রাচ্যে। তবে রেমিটেন্সে সেটার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।