জুমবাংলা ডেস্ক : ক্যাসিনোকাণ্ডে আটক বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়টি তার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে পরিচিত। তবে এতে ছিল আবাসিক ব্যবস্থাও। তিনি সেখানেই থাকতেন এবং বিলাসী জীবন-যাপন করতেন। তাকে আটকের পর র্যাবের চালানো অভিযানে তার বিলাসবহুল জীবনের নানা চিত্র দেখা গেছে।
কাকরাইল মোড়ের প্রগতি ভবনের চতুর্থ তলায় ছিল সম্রাটের কার্যালয়। র্যাবের অভিযানে সেখানে পাওয়া যায় দুটি ডিপ ফ্রিজ আর একটি সাধারণ ফ্রিজ। ডিপ ফ্রিজ দুটিতে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ মাছ-মাংস। আর সাধারণ ফ্রিজটি পূর্ণ ছিল বিদেশি মদ এবং সবজিতে।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিট। সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কার্যালয়ে ঢুকে র্যাবের একটি দল। শুরু হয় অভিযান। টানা চার ঘণ্টার অভিযানে যা পাওয়া যায় তাতে প্রমাণিত হয়, এই কার্যালয়টি তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি ছিল আয়েশের জায়গাও।
কার্যালয়ের ভেতরের ফ্রিজে পাওয়া যায় গরুর মাংস, মুরগির মাংস, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ-মাংস ও সবজি। সঙ্গে ছিল বিদেশি মদের সমারোহ।
এই কার্যালয় যে কেবল রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার হতো না তার প্রমাণ পাওয়া যায় ভবনের একটি বেডরুম দেখে। পাওয়া যায় আলিশান খাট, সোফা, কাঠের আলমারি। ভবনের সপ্তম তলার চিত্রও একই। এখানেও মিলেছে একটি বিলাসবহুল শয়নকক্ষের। কয়েক লাখ টাকার বিছানা, ড্রেসিং টেবিল ও নারীদের ব্যবহারের চিরুনিরও দেখা মিলেছে ওই কক্ষে।
অভিযানে এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, বেশ কিছু বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব।
ক্যাসিনোকাণ্ড সামনে আসার পর সবচেয়ে আলোচিত নাম যুবলীগ নেতা সম্রাট। তিনি ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার গুরু বলে পরিচিত। শুরু থেকেই তাকে খুঁজছিল র্যাব। রবিবার ভোররাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সহযোগী আরমানসহ তাকে গ্রেপ্তার করে সংস্থাটি। পরে তাকে আনা হয় ঢাকায়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মা’দক ও অ’স্ত্র আইনেও মামলা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।