বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও ভারত লোকসভা নির্বাচনের একটি আঞ্চলিক প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। এর ফলে বাতিল হয়েছিল তার ভারতীয় ভিসা। সঙ্গে সঙ্গে বিপাকে পড়েছিলেন ভারতীয় নির্মাতা নির্মল চক্রবর্তী ও প্রযোজক-নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
কারণ, ‘দত্তা’ নামের ছবিটির নায়ক হিসেবে তখন কাজ করছিলেন ফেরদৌস। ১০ ভাগ কাজ শেষও হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার অপরাধে ফেরদৌসকে তখনই ফিরতে হলো ঢাকায়। থেমে গেল শুটিং।
কিন্তু ঘটনার শুরু থেকেই ভারতীয় পরিচালকের কণ্ঠে দৃঢ়তা ছিল যে, বাংলাদেশি নায়ক ফিরলেই ফের শুরু হবে কাজ।
গত এপ্রিলের সেই ঘটনার পর ৭ মাস গড়ালেও হয়নি কোনও সুরাহা। ভারতে যেতে পারছেন না ফেরদৌস। তাই অবশেষ বাদ দেওয়া হলো তাকে।
এর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন কলকাতার অভিনেতা সাহেব চ্যাটার্জি। আগামী ডিসেম্বর থেকে পুরোদমে এর কাজ শুরু হবে।
এদিকে নায়ক ফেরদৌস দেশের জনপ্রিয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে জানালেন ভারতের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা এখনও দূর হয়নি। তিনি নিজেও আবেদন করেননি। তিনি বলেন, ‘‘আসলে এটা প্রেস্টিজিয়াস ইস্যু। তারা (ভারতীয় ভিসা অফিস) যদি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আমাকে না বলে, তাহলে আমি আবেদন করবো না। যদি তারা ইঙ্গিত দেয়, তবেই আমি করবো। এই কথাগুলো আমি ‘দত্তা’ ছবি সংশ্লিষ্টদেরও বলেছি।’’
‘দত্তা’-তে নতুন নায়ক যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, ‘আসলে দিনের পর দিন তারা আমার জন্য অপেক্ষা করছে, এটা তো হতে পারেন না। তাই আমিই তাদের বললাম, যদি খুব ক্ষতি না হয়, তারা যেন আমার বিকল্প কাউকে নিয়ে ছবিটার কাজ শেষ করে। কারণ একজনের জন্য পুরো প্রযোজনা তো বন্ধ থাকতে পারে না। আর ভিসা জটিলতা কবে শেষ হবে, তাও জানি না।’
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে ‘দত্তা’ নির্মিত হচ্ছে। এতে ফেরদৌসের অভিনয় করছিলেন বিলাস চরিত্রটি। নায়িকা হিসেবে ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।