জুমবাংলা ডেস্ক: আট বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন যশোরের মনিরামপুরের কদমবাড়িয়া গ্রামের শিউলি বেগম। একমাত্র ছেলেকে নিয়েই স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। এবার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। ১০৩ টাকায় কনস্টেবল হয়ে বিধবা মায়ের মুখে হাসি ফোটালেন মনিরুল ইসলাম। যশোরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাওয়া ১৯৩ জনের মধ্যে মনিরুল একজন। ২৬ জুন এসপি মঈনুল হক চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করেন। সে তালিকায় ৮৬ নাম্বার নামটি মনিরুল ইসলামের।
শিউলি বেগম বলেন, আট বছর আগে গাছ কাটতে গিয়ে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম মারা যান। তখন মনিরুল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। অনেক কষ্টে ছেলেকে মানুষ করেছি। গ্রামবাসী ও ভাইয়েরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। স্বামীর ছোট একটা পান দোকান ছিলো। সেই দোকানের আয় দিয়েই মনিরুলকে এইচএসসি পাস করিয়েছি। স্বপ্ন ছিলো, ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখবো। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, পড়াশোনার ফাঁকে মায়ের সঙ্গে দোকানে বসতাম। মাঝেমধ্যে মাছ ধরে বিক্রি করতাম, রাজমিস্ত্রীর হেলপার হিসেবেও কাজ করেছি। তবুও হাল ছাড়িনি। আজ মায়ের মুখে হাসি ফোঁটাতে পেরে আমি অনেক খুশি। শিউলি বেগম আরো বলেন, আমার ছেলেটা বিনা টাকায় পুলিশে চাকরি পাইছে তাতে আমি মহা খুশি। এসপি স্যার ছেলেটারে চাকরি দেছে। তার জন্নি আমি প্রাণ ভরে দোয়া করি। তার হাত দিয়ে যেন আমার মত দুঃখিনী মায়েদের আশা পূরণ হয়।
ইউপি সদস্য তাইজুল ইসলাম মিলন বলেন, মনিরুল ভালো ছেলে, ছাত্র হিসেবেও মেধাবী। তার পড়াশোনার জন্য আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছি। সে চাকরি পাওয়ায় গ্রামের সবাই খুশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।