জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক কর্তৃক ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’ স্লোগান বিকৃতির অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবারও সেই স্লোগান দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
স্লোগানটির দুই মাসপূর্তি উপলক্ষে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে বের হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমায়েত হন। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’, ‘বিকৃতি চলবে না, সাক্ষী আছে জনতা’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৪ জুলাই এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’
এই মন্তব্যের রাতে প্রথমে হলের ভেতরে জড়ো হয়ে স্লোগান আর বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১১টার পর থেকে ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে এসে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে। এরপর তা দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ১৪ জুলাইয়ের মূল স্লোগান ‘কে রাজাকার কে রাজাকার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার’ বলে ফেসবুকে প্রচার করতে থাকেন। যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘এই বিপ্লব কোনো সমন্বয়কের নয়, মাস্টারমাইন্ডের নয়। জামায়াত-শিবির, বিএনপি কিংবা ছাত্রদলের নয়। এই বিপ্লব— ছাত্র-জনতার, যাত্রাবাড়ীর, রামপুরার, উত্তরার এবং সারা বাংলাদেশের।’
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক ইবনে আলী বলেন, ‘অভ্যুত্থানের দুই মাস যেতে না যেতেই ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা শুরু করছে একদল অপতৎপরতাকারী। তারা সহস্রাধিক শহীদের রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি চিহ্ন মুছে দিতে চায়। মুগ্ধ-আবু সাঈদের সহোযোদ্ধারা এই চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দিবে না।’
ভারত যাওয়া হলো না শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর, ধোবাউড়ায় আটকে দিল জনতা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।