জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের গায়েবানা জানাযায় ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছিল।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবানে দুপুর সোয়া বারোটার দিকে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন এতে ইমামতি করেন।
নামাজের আগে উপস্থিত ছাত্রজনতার উদ্দেশে আখতার বলেন, আবরারকে যখন মারা হয় তখন তার মুখ বেধে রাখা হয়েছিল। আবরার হয়ত বাঁচতে চেয়েছিল কিন্তু খুনিরা তাকে বাঁচতে দেয়নি। আবরারের আদর্শকে ধারণ করে আমরা তাকে বাঁচিয়ে রাখব। আবরারের খুনিদের বাঁচাতে কোনো ধরণের টালবাহানা করলে ছাত্র সমাজ তার সমুচিত জবাব দেবে বলেও জানান তিনি।
নামাজ শেষে আবরারের প্রতীকী মরদেহ নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করার কথা রয়েছে।
সোমবার রাতে আবরারের লাশ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে লাশ নেওয়া হয় বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে প্রথম জানাযা শেষে রাতেই মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার রায়ডাঙ্গা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ সকালে সেখানে তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
নি’হত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।