রাতভর পাত্র-পাত্রীর তৃপ্তির শব্দে অতিষ্ঠ পড়শিরা অভিযোগ জানালেন প্রশাসনে

দিনের পর দিন একই ঘটনা ৷ রাত হলেই শুরু স.ঙ্গম ৷ সঙ্গে পাত্র-পাত্রীর তৃপ্তির শীৎকারে পরিত্রাহি অবস্থা এলাকাবাসীর ৷ কানে আঙুল মাথায় বালিশ কোনও কিছুতেই মিলছে না শান্তি ৷ রাতের পর রাত ঘুমোতে না পেরে তিতিবিরক্ত সকলে ৷ কিন্তু কাউকেই কিছু বলার উপায় নেই ৷

পাত্র-পাত্রীটি আসলে ময়ুর ও ময়ুরী ৷ এক জোড়া নয়, একদল ৷ জোড়া জোড়ায় প্রায় ৪০টি ময়ূর-ময়ূরী এসে বাসা বেঁধেছে এলাকার নারকেল বাগানে ৷ সেই বাগানেই রাত নামলেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ময়ূর-ময়ূরীদের রতিক্রিয়া ৷ সঙ্গে কর্কশ গলার চিৎকার এলাকাবাসীর মাথা যন্ত্রণার কারণ ৷

সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামির এক অভিজাত পাড়ার জীবন তিতিবিরক্ত এই ময়ূর-ময়ূরীদের স.ঙ্গমে ৷

শুধু শ.রীরী মিলনই নয়, ময়ূর যুগলদের আচার আচরণেও অতিষ্ঠ বাসিন্দারা ৷ পাড়ার নারকেল বাগানে বাসা বাঁধলেও সারা দিন এলাকার যেখানে সেখানে বিষ্ঠা ত্যাগ করে বেড়াচ্ছে ময়ূরের দল ৷ কখনও ঢুকে পড়ছে বাড়ির ভিতর ৷ কখনও আঁচড়ে দিচ্ছে গাড়িতে ৷

সবমিলিয়ে নাজেহাল এলাকাবাসী, সিটি কমিশনারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে ৷ মস্করা করে এক বাসিন্দার মন্তব্য, ময়ূরের রঙিন দাম্পত্য জীবনের ধাক্কায় আমাদের দাম্পত্যে আঁধার নেমে এসেছে ৷