জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার পর আলোচনা উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্র-সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের বিভিন্ন তথ্য। বুয়েটের গেস্ট-রুম, ২০১১ ও ২০০৫ নম্বর রুমে যেভাবে নির্যাতন করা হতো তার বর্ণনা দিয়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর বুয়েট অডিটরিয়ামে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে হলের সবাইকে থাকতে বলা হয়েছিল। অনেকে গিয়েছিল, অনেকে আবার পড়াশোনার জন্য যেতে পারেনি। যারা ওই অনুষ্ঠানে যায়নি, তাদেরকে গেস্ট-রুমে ডেকে নেয়া হয়। সবাইকে চড়- থাপ্পড়, এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দেয়া হয়। এরপর সবাইকে ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আবারও মারধর করা হয়।
অন্য এক ছাত্র জানান, ওরা ইচ্ছামতো রুমে ডেকে নিয়ে র্যাগ দিতো। কথা না শুনলে তোদের মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলবো, এমন কথা বলতো।
১৮তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, র্যাগিংয়ের জন্য আমাদের রুমে ডেকে নিয়ে এক পায়ে দাঁড় করানো হতো, কান ধরে দাঁড় করানো হতো, চেয়ার ছাড়া চেয়ারে বসার ভান করতে বলা হতো, মাটিতে বসে দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে কান ধরে মুরগি হতে বলা হতো। কারও ওপর বেশি ক্ষোভ থাকলে তাকে স্ট্যাম্পের ওপর বসানো হতো।
গত ৬ অক্টোবর, রোববার মধ্যরাতে বুয়েটের আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওইদিনই সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, বাঁশ বা স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানো হয়ে থাকতে পারে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে। এর ফলেই রক্তক্ষরণ বা পেইনের (ব্যথা) কারণে ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। সূত্র : সময়টিভি অনলাইন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।