জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর কুর্মিটোলায় দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবিতে সারাদিন বিক্ষোভের পর রাতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল, রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদী গান-কবিতায় সমাবেশ এবং মোমবাতি মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নিতে দেখা যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।
সহপাঠী ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হতে না হতেই সকাল থেকে প্রতিবাদ এবং ধর্ষকের বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। দুপুরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ডাকসু ভিপিও মানববন্ধন করেন। ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন ভিপি নুরুল হক নুর। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিপীড়নবিরোধী পদযাত্রা ও আলোক প্রজ্বলন মিছিল ডাকসু চত্বর থেকে বেরিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসাইনের নেতৃত্বে ডাকসুর নেতাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন।
গোলাম রাব্বানী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সেরকম আইন বাংলাদেশেও করা দরকার।
রবিবার কুর্মিটোলা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার হন ঢাবি শিক্ষার্থী। তিনি বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্ষণিকা’ নামের দোতলা বাসে (ঢাবি-টঙ্গী রুট) বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।