জুমবাংলা ডেস্ক : দিনভর নানা নাটকীয়তার পর পাবনার বেড়ায় আটককৃত যুবককে ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। অথচ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে তাকে আটকের পর তার কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল।
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের বিরুদ্ধে ওই যুবককে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন। আটক যুবক শাহাজান আলী ঝন্টু (৩৫) বেড়া পৌর এলাকার শালিকাপাড়া মহল্লার মোসলেম মোল্লার ছেলে।
বেড়া থানার উপ-পরির্দশক আব্দুল বারেক মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বলেন, ঝন্টু বেড়া থানার সিএন্ডবি বাজার এলাকায় মাদক বিক্রির জন্য অবস্থান করছেন; এমন সংবাদে বুধবার সন্ধ্যায় আমরা অভিযান চালাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঝন্টু দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটকের পর উপস্থিত জনতার সামনে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় তার প্যান্টের ডান পকেট থেকে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
তবে এই পুলিশ কর্মকর্তা ঝন্টুকে আটকের পর তার কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমকর্মীদের। ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে আদালতে পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত রাতেও আমি ১০ পিসের কথাই বলেছি।
এদিকে, গত রাতে তার কথার অডিও রেকর্ড রয়েছে জানালেও তিনি ১০ পিস ইয়াবার কথাই নিশ্চিত করেছেন বলে দাবি করেন।
মামলার এজাহারের লিখিত বর্ণনা অসত্য বলে দাবি করেছেন ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
ঝন্টুর শ্যালক জাহিদ হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় আমার দুলাভাই সেলুনে শেভ করতে যান। তার মুখে শেভিং ক্রীম লাগানোর পর হঠাৎই এসআই বারেকসহ কয়েকজন পুলিশ এসে তার শেভ বন্ধ করতে বলেন। মুখ ধুয়ে দিলে, ওসি সাহেব ডাকছেন বলে তাকে নিয়ে যান। কিন্তু তাকে কোনো তল্লাশি বা মাদক রয়েছে বলে সন্দেহভাজন বলেও দাবি করেনি। পরে থানায় গিয়ে শুনছি তার কাছে নাকি ৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। তিনি মাদকসেবী নন, ব্যবসা করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক হোসেন ও সাইফুল ইসলাম জানান, ঝন্টুকে আটক করতে দেখে আমরা এগিয়ে যাই। ঝন্টু দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেনি। পুলিশ তাকে কথা বলার কোনো সুযোগ না দিয়েই ধরে নিয়ে যায়। এখন আবার শুনেছি ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে চালান করেছে, বিষয়টি সত্যিই আশ্চর্যের। তাকে থানায় নিয়ে মাদক দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম আজাদ বলেন, আমার অফিসার ওই ব্যক্তির কাছ ১০ পিস ইয়াবা পাওয়ার পর মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটকের পর এসআই যদি ৫০ পিস ইয়াবা পাওয়ার কথা বলে থাকে সেটি তার বিষয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি জানান। সূত্র : সময় নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।