জুমবাংলা ডেস্ক: দেশ ছেড়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী–সন্তানসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে একটি চার্টাড ফ্লাইট করে তারা দেশ ছাড়েন।
এক নথি থেকে জানা যায় ওই ফ্লাইটে ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, তাদের দুই সন্তান আহমেদ ওয়ালিদ সোবহান ও আরিশা আফরোজ সোবহান, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ঈয়াশা সোবহান ও তার মেয়ে রানিয়া আফরোজ সোবহান এবং তিনজন গৃহকর্মী ডিয়ানা হেরনানদেজ কাকানানদো, মোহাম্মদ কাদের মীর এবং হোসনে আরা খাতুন।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বেবিচক তাদের অনুমতি না দিলেও স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি দুবাইয়ের আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে সোমবার রাতেই মামলা দায়ের করেছেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামী করে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন তিনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মুনিয়া (২১) মিরপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। দুই বছর আগে মামলার আসামি সায়েম সোবহান আনভীরের (৪২) সঙ্গে মোসারাতের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তাঁরা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন এবং সব সময় মোবাইলে কথা বলতেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রতিমাসে এক লাখ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে আনভীর মুনিয়াকে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল এবং নিয়মিত যাতায়াত করতো। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকতো।
মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল। একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে আনভীর তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।