জুমবাংলা ডেস্ক : ২৪ এপ্রিল ২০১৩। বিশ্ববিবেক নাড়িয়ে দেয়া এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। প্রায় চার দশকে, তিলে তিলে গড়ে তোলা পোশাক খাতের গৌরবময় ঐতিহ্য যেনো ধুলোয় মিশে যায় এক নিমিষে। হাজারের বেশি নিহত আর অসংখ্য আহত ও চিরতরে পঙ্গু হওয়া শ্রমিকদের কাছে দুঃসহ সেই স্মৃতি যেনো এখনো জীবন্ত।
এই ঘটনায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে শান্তকে হারিয়ে দিশেহারা বিধবা খোরশেদা বেগম। সে সময় সামান্য কিছু সহায়তা পেলেও, আরেক ছেলে ও নাতনীদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পঞ্চাশোর্ধ এই নারী। তাই জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একটাই প্রত্যাশা, যেনো দেখে যেতে পারেন সন্তান হারানোর বিচার।
দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেলেও, কর্মক্ষমতা হারান সে সময়ের টগবগে যুবক মুনান খান। বর্তমানে বেঁচে থাকার তাগিদে হাত পাততে হচ্ছে আর দশজনের কাছে। সাভারে বেসরকারি একটি সংস্থার সহায়তায় চিকিৎসা নিলেও, পেটের দায়ে শারীরিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে পণ্য ফেরি করেন মাঝেমধ্যেই। তিনি বলেন, এখন মনে হয় এর থেকে মরে যাওয়া ভালো ছিল। ক্ষুধা মিটাবো নাকি চিকিৎসা করব সেটাই বুঝি না।
গত এগারো বছরে দেশের তৈরি পোশাক খাতে এসেছে বড় পরিবর্তন। পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপনে বাংলাদেশ এখন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু, অত্যাধুনিক এসব অবকাঠামো আর বড় বড় বিনিয়োগ কতটা নিশ্চিত করতে পেরেছে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার?
এমন প্রশ্নে সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দীর্ঘমেয়াদিভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া বা পঙ্গুত্ব বরণ করা শ্রমিকদের জন্য যে দৃষ্টিভঙ্গিতে অর্থ দেয়া হয়েছিল সেটি আসলে কাজে লাগেনি।
এদিকে উদ্যোক্তারা মনে করেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত এখন আগামীর বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। যার ওপর দাঁড়িয়ে রচিত হবে ২০৪১- সালের উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন। বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিজিএমইএ এবং সরকারের সফল নেতৃত্ব সেই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের আমাদের উপর আস্থা, এই তিনটা জিনিস মিলে আমাদেরকে এ জায়গায় নিয়ে এসেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।