স্পোর্টস ডেস্ক: ঢাকা টেস্টে শুরুতেই রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরের পথ ধরেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও তামিম ইকবাল। প্রথম দিন একই পথে হাঁটেন সাকিব আল হাসান। এ তিনজনের পর আজ ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শূন্য রানে আউট হলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
সবমিলিয়ে একাদশের ছয় ব্যাটারই আউট হয়েছেন শূন্য রানে। টেস্টের এক ইনিংসে ছয় ব্যাটারের শূন্য রানে অলআউট হওয়ার নজির বাংলাদেশের জন্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছয়জন আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে।
এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, টেস্ট ইতিহাসেরই রেকর্ড। ক্রিকেটের এই অভিজাত ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে মোট ছয়বার একই ইনিংসে ছয় ব্যাটারের শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে একমাত্র দল হিসেবে দুইবার এ বিব্রতকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ দল।
২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে জার্মেইন লসনের তোপে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন ৬.৫ ওভারে ৪ মেইডেনসহ মাত্র ৩ রান খরচায় ৬টি উইকেট নেন লসন। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন মোহাম্মদ আশরাফুল, অলক কাপালি, খালেদ মাসুদ, এনামুল হক, তাপস বৈশ্য ও তালহা জুবাইর।
সেই ম্যাচের প্রায় দুই দশক পর আবারও ছয় ব্যাটারকে শূন্য হাতে ফিরতে দেখলো বাংলাদেশ। এছাড়া বিশ্ব ক্রিকেটে ১৯৮০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তান, ১৯৯৬ সালে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত ও ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ছয় ব্যাটার আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে।
তবে দ্বিতীয়বার ছয় ডাকের বিব্রতকর কীর্তি গড়লেও, রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ দল। লিটন দাস (১৪১) ও মুশফিকুর রহিমের (১৭৫*) দারুণ দুই সেঞ্চুরির সুবাদে অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ করেছে ৩৬৫ রান।
এর আগে টেস্ট ক্রিকেটের এক ইনিংস ছয় ডাকের পর এতো রান করতে পারেনি আর কোনো দল। ইনিংসে ছয় ডাকের পর পাকিস্তান ১২৮, দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৫, বাংলাদেশ ৮৭, ভারত ১৫২ ও নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৯০ রানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।