জুমবাংলা ডেস্ক : বিদেশি রামবুটান ফলের উৎপাদন বাড়াতে এ ফল চাষে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া কাজুবাদাম চাষেও ব্যাংক থেকে নেওয়া যাবে ঋণ। নতুন কৃষিঋণ নীতিমালায় এই দুটি ফলকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আগামী ২৩ জুলাই নতুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করতে পারেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছর দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে প্রায় ২৪ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। সদ্যসমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সে হিসেবে নতুন অর্থবছরে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে প্রায় ২ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা বা সাড়ে ১০ শতাংশ। এবারও কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকছে।
তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এনজিও-নির্ভরতা কমাতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করা হবে। কারণ এনজিওর মাধ্যমে কৃষিঋণ পেতে কৃষকের প্রায় ২৫ থেকে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ গুনতে হয়। নীতিমালায় বিদেশি রামবুটান ফল ও কাজুবাদাম চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে। ৫ একর পর্যন্ত জমিতে এ দুটি ফল চাষের জন্য কৃষকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। এর মধ্যে রামবুটান ফল চাষে একরপ্রতি ঋণসীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে ৭৬ হাজার ১৫০ টাকা। আর কাজুবাদাম চাষে একরপ্রতি ঋণসীমা ৬৫ হাজার টাকা।
সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিসের (এআইএস) তথ্যমতে, রাঙামাটি জেলায় কিছু সংখ্যক রামবুটান গাছে ৩০-৪০ বছর ধরে ফল দিচ্ছে। নেত্রকোনা জেলার কিছুসংখ্যক চাষি প্রায় ২০ বছর ধরে রামবুটান ফল উৎপাদন বিপণন করে বেশ লাভবান হচ্ছে। এ ছাড়া নরসিংদী উপজেলার শিবপুর জেলায় কয়েক জন রামবুটান চাষির সফলতায় সেখানেও রামবুটান চাষে অনেকেই আকৃষ্ট হচ্ছেন। সারাদেশে এই ফল চাষ সম্ভব বলে মনে করছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
জানা গেছে, গত অর্থবছরে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এটা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১০৮ শতাংশ। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা চেয়েও ৮ শতাংশ বেশি কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছিল। নতুন নীতিমালায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৬০ শতাংশ শস্য খাতে এবং ন্যূনতম ১০ শতাংশ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিতরণের বাধ্যবাধকতা বহাল থাকছে। এ ছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ বিতরণ করতে হবে। এবারও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করতে না পারলে অনর্জিত লক্ষ্যমাত্রার সমপরিমাণ অথবা বিকল্পভাবে অনর্জিত লক্ষ্যমাত্রার ৩ শতাংশ হারে হিসাবায়নকৃত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।