জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছিলেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও চান্স পেয়েছিলেন তিনি। রাশিয়া গিয়ে পারমাণবিক নিয়ে গবেষণার সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু মায়ের আপত্তি, যারা পারমানবিক নিয়ে কাজ করে তাদের ক্যান্সার হয়৷ তাই মায়ের অনুমতি না পেয়ে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন। ফাহাদের শোকার্ত মা রোকেয়া খাতুন আহাজারি করে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছেলেটা ঢাকা মেডিকেল, ঢাবি আর বুয়েটে চান্স পেয়েছিল। সব বিসর্জন দিয়ে ভর্তি হয় বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ার হবে বলে। আজ ছেলেটা লা’শ। তাকে মেডিকেলে পড়তে বলেছিলাম। তাকে মেডিকেলে পড়তে বলেছিলাম, সে পড়ে নাই; যেতে হয়েছে মেডিকেলের মর্গে।
জানা গেছে, নিহত আবরার ফাহাদ কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ির পেছনের বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত ব্র্যাক কর্মী বরকত উল্লাহ-রোকেয়া দম্পতির বড় ছেলে। গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বরকত উল্লাহর ছেলে বড় ছেলে আবরার ফাহাদ ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে এইচ এসসি বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন ঢাকা নটরডেম কলেজে। সেখান থেকে ২০১৭ সালে এইচ এসসি পরীক্ষাতেও গোল্ডেন এ প্লাসসহ উত্তীর্ণ হন। পরে বুয়েটের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস বিভাগে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। ফাহাদ সেখানে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ফেইসবুকে ভারতের সঙ্গে পানি গ্যাস ও বন্দর চুক্তি নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ায় তাকে পিটিয়ে হ’ত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১৩জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।