আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে কোন আরোহী বেঁচে নেই বলে জানিয়েছেন বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ভায়াচেসলাভ গ্লাদকোভ। ওই উড়োজাহাজে রুশ বাহিনীর হাতে বন্দী হওয়া ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৬৫ সদস্য, ৬ জন ক্রু এবং যুদ্ধবন্দীদের পাহারায় নিয়োজিত ৩ ব্যক্তি ছিলেন বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর আল-জাজিরার
মস্কোর ভাষ্যমতে, এই ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের বন্দিবিনিময়ের জন্য নেওয়া হচ্ছিল। পেছনে আরেকটি উড়োজাহাজে ৮০ জন ইউক্রেনীয় বন্দী ছিলেন। ওই ঘটনার পর দ্বিতীয় উড়োজাহাজটিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে উড়োজাহাজের আরোহীরা সত্যিই বন্দী ইউক্রেন বাহিনীর সদস্য কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি আল-জাজিরা।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়, পশ্চিমাদের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের সেনারা উড়োজাহাজটিতে গুলি করেছিলেন।
এদিকে ইউক্রেন দাবি করছে, উড়োজাহাজটি ইউক্রেনীয় সেনারা ভূপাতিত করেছে এবং এটির ভেতর কোনো যুদ্ধবন্দি ছিল না। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের সময় এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ইয়াবলোনোভো গ্রামে একটি উড়োজাহাজ খাড়াভাবে আছড়ে পড়ছে। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
উল্লেখ্য, আইএল-৭৬ উড়োজাহাজটি তৈরি করা হয়েছে সেনা, কার্গো, সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র পরিবহণের জন্য। উড়োজাহাজটিতে সাধারণত পাঁচজন ক্রু থাকেন এবং এটি সর্বোচ্চ ৯০ জন যাত্রী বহন করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।